সবুজ ডেস্ক : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম শব্দের অর্থ হল “পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি” কিন্তু এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা তাৎপর্য ও গুরুত্ব আমারা সবাই জানি না। এর উপর জ্ঞান রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।
কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১১৩টি সূরার শুরুতেই ‘বিসিমল্লাহির রহমানির রহিম’ শোভিত ও সংযোজিত করেছেন, সুবহানাল্লাহ। এই ‘বিসিমল্লাহ’র ফজীলত অপরিসীম। এই আয়াতটিকে পবিত্র কোরআনের মুকুট বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে—পরম করুণাময় আল্লাহপাকের নামে শুরু করছি-যিনি অতিদয়ালু, করুণাময়। হযরত রাসূলে মকবুল (স) এই আয়াতটিকে আল কোরআনের শ্রেষ্ঠতম আয়াত বলে উল্লেখ করেছেন। এই আয়াতের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামীনের অতি দয়া-করুণাসূচক ‘রহমান ও রহিম’ নাম দুটো মানবকূলের জন্য সর্বাগ্রে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ জন্যও বিসিমল্লাহির রহমানির রহিম-এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বেশি।
হাদিস শরীফে এসেছে যদি কোন ব্যক্তি নিজের পরিধেয় কাপড় পরিবর্তন করতে চায় এবং বিসমিল্লাহ পড়ে তখন আল্লাহ তার মাঝে ও ফেরেশতা এবং জিন্নাত এর মাঝে পর্দা দিয়ে দেন।যার কারনে ফেরেশতা এবং জিন্নাত তাকে দেখতে পায়না।এখানে একটি সুক্ষ বিষয় পাওয়া গেল যদি আমরা প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি তা হলে বিসমিল্লাহ আমাদের এবং জাহান্নামের মাঝে পর্দা করে দিবে।
বিসমিল্লাহর মধ্যে ১৯ টি অক্ষর আছে,জাহান্নামেরজিম্মাদার ফেরেশতা ১৯ জন,বিসমিল্লাহর ১৯ টি অক্ষর ১৯ জন ফেরেশতা থেকে বাচার কারন হয়ে যাবে।এ জন্য বেশী করে বিসমিল্লাহ পড়ার অভ্যাস করা চাই। বিসমিল্লাহ এর মধ্যে চারটি শব্দ আছে।এবং চার ধরনের গুনাহ আছে।১। প্রকাশ্যের গুনাহ ২। গোপনের গুনাহ৩। দিনের গুনাহ ৪। রাতের গুনাহ প্রত্যেকটি শব্দ গুনাহের কাফফারা হবে।
বিসমিল্লাহ এর মধ্যে আল্লাহর তিনটি নাম ব্যবহার করেছেন আল্লাহ রাহমান রাহীম।সাধারণত গুনাহ তিন প্রকার ১। কুফর শিরক থেকে বেচে থাকা এবং ঈমান গ্রহন করা। ২। কবিরা গুনাহ থেকে বেচে থাকা আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করা।৩। ওয়াস ওয়াসা মুক্ত হয়ে আল্লাহ পাকের এবাদত বন্দেগী করা।যে বান্দা প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়বে,আল্লাহ তায়ালা তাকে গুনাহ থেকে বেচে থাকার তাওফিক দিবেন।(খুতবাতে জুলফিকার ৫ নং খন্ড ২৮৪ নং পৃষ্ঠা
যখন কোন বান্দা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে,তখন শয়তান এরুপ গলে যায়,যে ভাবে সিসা আগুনে গলে যায়। যখন কোন মুমিন ব্যক্তি দোয়া করে যে দোয়াতে কোন পাপ ও থাকে না ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না,মহান আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোন এক পদ্ধতিতে তার দোয়া অবশ্যই কবুল করে নেন।যে দোয়া সে করেছে হুবহু সেভাবে তা কবুল করেন অথবা তার দোয়ার প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষন করেন কিংবা এ দোয়ার মাধ্যমে তার উপর আগত কোন বিপদ তিনি দূর করে দেন।(বোখারী)