নিজস্ব প্রতিনিধি : সমন্বিত বালাইনাশক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গুণগতমান সম্পন্ন ও নিরাপদ শিম উৎপাদন শীর্ষক এক মাঠ দিবস শনিবার ময়মনসিংহের চর আনন্দীপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় ময়মনসিংহের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং, বারি, গাজীপুরের পরিচালক ড. মো. কামরুল হাসান। এসময় আরো ছিলেন, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বারি’র প্রাক্তন পরিচালক ড. মো. শাহাব উদ্দিন আহম্মেদ, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক ড. তপন কুমার দে, ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আজিজুল হক, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বারি’র উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজিম উদ্দিন,ড. নার্গিস আক্তার প্রমুখ। এসময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. মো. শাহাদত হোসেন।

বক্তারা বলেন, শিম বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি কিন্তু পোকামাকড় রোগ বালা য়ের আক্রমনে প্রায় ২০-৪১% ফলন কমে যায় ।ফেরোমন ফাদ,হলুদ আঠারো ফাদ, হাত বাছাই,বোটানিকেলস/ জীবানুর সমন্বয়ে জৈব বালাই নাশক ভিত্তিক আইপিএম প্রযুত্তি উদ্ভাবন করেছেন। যার মাধ্যমে সাফল্যজনক ভাবে পোকা মাকড় ও রোগবালাই দমন করা যায়। আক্রমন প্রায় ৮০% রোধ করা যায়, যা ফলন অনেক বাড়িয়ে দেয়, তাই কুষকের আয় বেশি হয়। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা উপস্থিত কৃষকদের সরেজমিন গবেষণা ফলাফল দেখিয়ে আইপিএম পদ্ধতিতে শিম চাষে উৎসাহিত করার জন্য এর উপকারি দিকগুলো তুলে ধরেন।