গোলাম রব্বানী-টিটু : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বনকালি গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া(২৮) যুবকের ফেরি করে পান বিক্রি শেষ হবে কবে এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
লিটন মিয়া অসহায় দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ছোট বেলায় তার বাবাকে হারিয়ে মায়ের সাথে ঢাকায় মিরপুরে মানুষ হতে থাকে। এক সময় রাস্তা পারাপারের সময় এক ঘাতক মটরসাইকেল তাকে চাপা দিলে তার ডান হাতটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। অসহায় মা মানুষের নিকট থেকে সাহায্য নিয়ে তার চিকিৎসা করে ভালোর দিকে নিয়ে আসলে তার ডান হাতটি শেষ পর্যন্ত পঙ্গুত্ব হয়ে পড়ে।
সেই হাত দিয়ে কোন কাজকর্ম করতে না পেরে অবস হাতটি নিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। কোভিড-১৯ করোনা ভারাসের কারণে ঢাকা থেকে মা সহ গ্রামের বাড়িতে এসে পানের পাত্রটি গলায় ঝুলিয়ে বাজারে ফেরি করে পান বিক্রি করতে থাকে।
সারাদিন ঘুরেফিরে ৪শ থেকে ৫শ টাকার পান বিক্রি করে মহাজনকে দিয়ে মা/বোন/স্ত্রী সহ জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ১২ বছর থেকে সে এ পেশায় নিয়োজিত থেকে ঢাকাতে সে এ পেশাই করেছে। এখন ফেরি করে পান বিক্রির প্রচলন নেই বললেই চলে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সে ঝিনাইগাতীতে পান বিক্রি করে থাকে। সামাজিক বেষ্ঠনীর মাধ্যমে তাকে কোন সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি কেউ। সে ঢাকায় অবস্থান কালে একটি ভাতার কার্ড হয়েছে। ঝিনাইগাতীতে তার কোন ব্যবস্থা হয়নি বলে জানা গেছে।
লিটন মিয়া জানায়, আমার স্বপ্ন ছোট বেলায় ঘাতক মটরসাইকেলের ধাক্কায় কেড়ে নিয়েছে। আমি ঝিনাইগাতী থেকে এখনও সরকারের বরাদ্ধ কিছু পাইনি। বুকে কষ্ট নিয়ে ফেরি করে পান বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাই। একজন ভাই রয়েছে সে আমাদের দেখে না। সরকার ও জনপ্রতিনিধিরা আমার দিকে তাকাইলে একটু মুক্তি পেতাম। হাতটিতে কোন শক্তি পায় না বলে অন্য কাজ করতে পারি না।