ভালুকা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় জমি ও সরকারী খাল দখলকে কেন্দ্র করে বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় আর্টি কম্পোজিট ডায়িং মিলের মালিক শিল্পপতি আব্দুর রাজ্জাকের দুই পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিল্পপতিকে প্রথমে ভালুকা সরকারী হাসপাতাল ও পরে ঢাকার মিরপুরের মাক্স জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাঠালীস্থ আর্টি কম্পোজিট ডায়িং মিল কর্তৃপক্ষের সাথে পাশের সরকারী ধোবাজানের খাল ভরাট ও স্থানীয় জসিম উদ্দিন পাঠানগংদের জমি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে আদালতে দু’পক্ষেরই মামলা চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন ১৪ জুলাই বুধবার সকালে মিল মালিক নিজে উপস্থিত থেকে খাল ভরাট ও বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ লাইন স্থাপন কাজ পরিদর্শণ করতে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন পাঠান তাতে বাঁধা দেয়।

এ সময় ফ্যাক্টরীর ভাড়াটিয়া লোকজন জসিম উদ্দিনের ওপর হামলা করতে চাইলে পাশে দাঁিড়য়ে থাকা মিল মালিক আব্দুর রাজ্জাকের উপর স্থানীয় ধামশুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান পাঠান ছেলে জসিম উদ্দিন,তার ভাই আব্দুল মালেক পাঠান, ভাতিজা রুহুল আমীন, ইকবাল ও রঞ্জিত হামলা করে। জসিমের হাতে থাকা দা দিয়ে প্রথমে এক পায়ে কোপ দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে পরে অপর পা কোপ দিলে ওই পা চামড়ার সাথে ঝুলে যায়। এ সময় মিলের লোকজন আহত আব্দুর রাজ্জাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা সরকারি হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় মিরপূরের মাক্স জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, ধামশুর গ্রামের হামিদ মুন্সীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, আবুল পাঠানের ছেলে রুহুল আমীন ও জসিম উদ্দিনের বোন শিরীন আক্তার।

জসিম পাঠানের ভাই নাজিম উদ্দিন পাঠান জানান, স্থানীয় মেম্বার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তার ভগ্নিপতির একটি প্রাইভেটকার, একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। এমন কি তার ভাই জসিম উদ্দিন পাঠানের উপর হামলা করতে গেলে তিনি আত্মরক্ষর্থে দৌড়ে পালিয়ে যান। কার আঘাতে মিল মালিক আহত হয়েছেন, তা আমাদের জানা নেই।

আর্টি কম্পোজিট ডায়িং মিলের অ্যাডমিন ম্যানেজার আল আমিন জানান, জসিম পাঠান অতর্কিতভাবে স্যারের ওপর হামলা করেন এবং কুপিয়ে দু’পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে স্যার আশঙ্কা জনক অবস্থায় আছে।

ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, ঘটনার সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, মিল মালিকের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শিল্প পুলিশের এএসপি কাজী সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনা সাথে সাথে শিল্প পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩ জনকে আটক করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।