অনলাইন ডেস্ক : যেসব বাবা মায়েরা সন্তানদের স্কুল এবং বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন, তারা বেশিরভাগই সন্তানদের অর্গানাইজড স্পোর্টস এবং শারীরিক কসরতের মধ্যে রাখতে চান। তারা ভাবেন এর মাধ্যমে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ সম্ভব। কিন্তু অর্গানাইজড কসরতের মধ্যে শিশুরা আনন্দ খুঁজে পায়না। শিশুদেরকে নিজেদের মতো করে খেলার সুযোগ দেয়া উচিত। শিশু যদি জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে ফেলতে ঘর্মাক্ত অবস্থায় বাড়ি না ফিরে, তবে বুঝতে হবে তাদের পর্যাপ্ত শারীরিক কসরৎ হচ্ছেনা।

এ কারণেই বাচ্চাদের নিজের মতো করে বাইরে খেলাধুলা বা সাইকেল চালানোয় উৎসাহিত করা প্রয়োজন। অন্তত এক ঘন্টা বাচ্চাদের অ্যারোবিক অ্যাক্টিভিটি দরকার বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অন্যান্য সমীক্ষা থেকেও জানা গিয়েছে, দিনে কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট বাচ্চাদের অতিরিক্ত থেকে মাঝারি পরিমাণে এক্সারসাইজ দরকার।

এতে তাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় থাকবে। সেই সঙ্গে গড়ে তুলুন সঠিক খাদ্যভ্যাস। সূর্যের আলো এবং সুষম খাদ্য দুই মিলে আপনার শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সূর্যের আলো ও সুষম খাদ্যের উপকারিতা-

সুষম খাদ্যভ্যাস

খেলাধুলাই শুধু নয় বাচ্চাদের খাবারের প্রতিও অভিভাবকদের অতিরিক্ত মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। ১০ থেকে ১৭ বছর সময়ের মধ্যে সর্বাঙ্গীণ বৃদ্ধি বিকাশ হয়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যেস সন্তানের মধ্যে গড়ে তোলা প্রয়োজন। সুষম খাদ্যগুলো হলো-

>> প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। অতিরিক্ত এ ধরনের খাবার থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।

>> প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী এবং টাটকা ফল সন্তানের খাদ্য তালিকায় রাখুন। এতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং খনিজ দ্রব্য তার শরীরে প্রবেশ করবে।

>> নিয়মিত বাদাম এবং ড্রাই ফুড খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ওয়ালনাট আমন্ড মস্তিষ্কের বিকাশেও সাহায্য করে।

>> প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সন্তানকে দিন এর ফলে হাড় শক্ত হবে দাঁতের গঠন ভালো হবে। ভিটামিন ডি-এর অন্যতম একটি উৎস হলো মাশরুম এবং কমলালেবু।