অনলাইন ডেস্ক : সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি আদালত বলেছে মাথায় চুল না থাকায় পুরুষদের ‘টেকো’ বলে ডাকা যৌন হয়রানির শামিল। এমনকি, পুরুষদের টাক নিয়ে মন্তব্য করা আর নারীদের স্তন সম্পর্কে কথা বলা সমান বলে রায় দিয়েছেন আদালত।
সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি টাক পড়ে। কিন্তু এর নেপথ্যে কারণটা কী, সেটা অনেকেই জানেন না। চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই নাজেহাল। নারী-পুরুষ উভয়ই কমবেশি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল এমনিতেই পড়ে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়লে সেটা কিন্তু চিন্তার বিষয় হতে পারে।
ছেলেদের ক্ষেত্রে ছোট থেকে বড় হতে হতে, মানে শৈশব থেকে কিশোর বা তরুণ বয়সের শুরুতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। আবার ছেলেদেরই একটা বয়সের পর চুল ওঠার পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে টাকও পড়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে মাথার সামনের দিক থেকে। তবে প্রথমে মাথার দু’পাশ থেকে চুল ঝরতে শুরু করে।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি চুল পড়ার কারণ:
এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে মূলত ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা বেশি দেখা যায়। পুরুষের প্রজনন ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের উপস্থিতি নেই বলেই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি চুল পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল ঝরার পাশাপাশি বংশগত কারণেও চুল উঠতে পারে। অল্প বয়সেই টাক পড়ে গিয়েছে মানে বংশে কারও চুল ওঠার প্রবল সমস্যা ছিল এবং আছে।