হাঁসের ডিম এবং মুরগির ডিমের মধ্যে কোনটি বেশি পুষ্টিকর তা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। অনেকের ধারণা, মুরগীর ডিম বেশি উপকারী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুষ্টিগুণের বিবেচনায় দুইটি মান প্রায় সমান। তবে তুলনা করলে হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ সামান্য বেশি।

হাঁসের ডিমে যেসব পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়-

১. হাঁসের ডিমের খোলস কিছুটা মোটা। এ কারণে এটি বেশি সময় সতেজ থাকে।

২. হাঁসের ডিম মুরগীর ডিমের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। হাঁসের ডিমে একটু বেশি ক্রিম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু মানুষ আছেন যাদের মুরগীর ডিম খেলে অ্যালার্জি হয় তারাও হাঁসের ডিম খেতে পারেন।

৩. হাঁসের ডিম মুরগীর ডিমের চেয়ে কিছু বড় আকৃতির হয়। একটা বড় হাঁসের ডিমে ৯ গ্রাম প্রোটিণ থাকে। অন্যদিকে মুরগীর ডিমে থাকে ৬ গ্রাম প্রোটিণ। আবার আকৃতিতে কিছুটা বড় হওয়ায় হাঁসের ডিমের কুসুমে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলও একটু বেশি থাকে।

৪. গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁসের ডিমে একটু বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।

৫. মুরগীর ডিমের তুলনায় ভিটামিন ও খনিজও একটু বেশি থাকে হাঁসের ডিমে।

৬. প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ১৮১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি রয়েছে। আর মুরগীর ডিমে খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় ১৭৩ কিলোক্যালরি।

৭. মুরগীর ডিমে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ১ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ আছে। অন্যদিকে, ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ থাকে।

সব মিলিয়ে দেখা গেছে সামান্য পরিমাণে হলেও মুরগীর থেকে হাঁসের ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি রয়েছে।

(তথ্য-ইন্টারনেট)