স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকার কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেন- অধিক ফসল উৎপাদন এবং জনগনের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দারিদ্র মুক্ত করার জন্য সীমিত ভূমি সম্পদের অধিক কার্যকরী ব্যবহারের কৃষিবিদরা মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে। শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রান্তিকীকরণের হার হ্রাস করা বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার পরিকল্পনা। গ্রামীন জনগোষ্টীর দারিদ্র দূরীকরণ এবং টেকসই কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে কৃষক, কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানীরা অগ্রনী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার দেশের পশ্চাৎপদ এলাকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নের জন্য সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও জাতীয় কৃষি নীতির প্রতি গুরুত্বারোপ এবং নীতিমালা গ্রহন করেছেন।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সোমবার বোরো ধানের উৎপাদনে অধিক ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি সমুহের বিস্তার এবং শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক অবহিতকরন দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল রুবেল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের আওতাধীন ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার ৬০টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা, কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা, বিএডিসির জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা, কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, উপসহকারী কর্মকর্তা ও পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালা শেষে প্রকল্পের আওতায় ফসলের গড় নিবিড়তা বৃদ্ধি ও বোরো আবাদে অধিক ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর পর্যালোচনা ও কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কর্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন ও জমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং প্রতিইঞ্চি জমি চাষাবাদে সফল হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ২০৮জন কৃষককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুস্কার প্রদান করা হয়।