স্পোটর্স ডেস্ক : বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে গ্রুপ পর্ব, দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করলেন মেসি, যা তিন যুগের দুঃখ ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছে। ঘুচল মেসি ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দুঃখও। গোটা ক্যারিয়ারে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের।
২০০৫ সালের যুব বিশ্বকাপ ও ২০০৮ সালের অলিম্পিক জয়ে উত্থান। একের পর এক মেগা আসর ছিল হতাশার অধ্যায়। এ সুপারস্টার আর্জেন্টিনাকে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে তুললেও রানার্সআপ ট্রফিতে সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুটি কোপা আমেরিকা আলবিসেলেস্তেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চ গড়ার সূচনা মেসির পায়েই।
২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফাইনালের প্রথম গোল করেন এ তারকা। ১০৮ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করে আর্জেন্টিনার হয়ে এক বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরারের আসনে বসলেন মেসি। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে মারিও ক্যাম্পোস সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছিলেন। ২০০৫ কাতারে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ জয়ের পথে ১৮ বছর বয়সী মেসি ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জিতেছেন।
এ সাফল্যের এক সপ্তাহ পর বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির বিপক্ষে সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তার। ৬৪ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে আসার এক মিনিট পরই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন! ফাইনাল হতাশার অধ্যায় হয়ে আছে। ২০২১ সালে এসে কোপা আমেরিকা দুঃখ ঘোচে। কাতারে ঘুচল বিশ্বকাপ দুঃখও।
২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে মেসির। ম্যাচে গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন তিনি। ২০০৭ কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হারলেও মেসি প্রতিযোগিতার সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে সোনা জয়ের পথে ব্রাজিলকে সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। শিরোপা জয়ের পথে দুই গোল করা মেসি ফাইনালে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলের নেপথ্য কারিগর ছিলেন।