কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে মিলেছে ২০ বস্তা টাকা। শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় দানবাক্স খোলা হয়েছে। এখন চলছে গণনার কাজ। দানবাক্সে রয়েছে সোনা-রুপার গহনাসহ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রাও। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সকাল পৌনে ৯টায় আটটি দানবাক্স খুলে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। প্রথমে টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। পরে মেঝেতে ঢালা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।

প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। এ কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন। কিশোরগঞ্জের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে অবস্থিত এই পাগলা মসজিদে রয়েছে আটটি দানবাক্স যা প্রতি তিন মাস পর পর খোলা হয়। এবার দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে ৩ মাস ৬ দিন পর।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহাকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ১৫ বস্তা টাকা।

দিনভর গুণে যার পরিমাণ হয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। তখন ৩ মাস ১ দিনে এই টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের আটটি দানবাক্সে। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।