স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। কুয়াশায় নষ্ট হেচ্ছে বীজতলার চারা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, শীত কমে আসলে কৃষকরা পুরোদমে বোরো আবাদ করতে পারবেন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও কোনও সমস্যা হবে না। ময়মনসিংহ সদরের মরাকুড়ি গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী ফকির (৬৫) চলতি মৌসুমে এক একর জমি বোরো আবাদের জন্য প্রস্তুত করছেন। এর জন্য বীজতলার চারাও তৈরি করেছেন। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে চারা রোপণ করতে পারছেন না।
লিয়াকত আলী বলেন, ‘তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বোরো মাঠ প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তীব্র শীত না থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বোরোর চারা রোপণ শুরু করা যেতো। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় বীজতলার চারা নষ্ট হতে বসেছে। এবার ঠিকমতো ফসল ঘরে তুলতে পারবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, শীত না থাকলে অনেক আগেই কৃষকরা মাঠে নেমে বোরো চারা রোপণ করতেন। শীতের কারণে মাঠ প্রস্তুত করাও সম্ভব হচ্ছে না। ঠান্ডা কমে আসলে পুরোদমে চারা রোপণ শুরু করা সম্ভব হবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। চলতি মৌসুমে ময়মনসিংহ জেলায় দুই লাখ ৬২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতিউজ্জামান জানান, এখনও অনেক সময় বাকি আছে। শীতের তীব্রতা কমে আসলে কৃষকরা চারা রোপণ করতেন।