কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের শিশু কন্যাকে দিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছে জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) নামে এক ব্যক্তির। এঘটনাটি কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউপির দুল্লী গ্রামে ঘটেছে। জাহাঙ্গীর দুল্লী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

সুত্র জানায়, দুল্লী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে প্রতিপক্ষের একখণ্ড ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার পাঁচ বছরের শিশু কন্যা মাইশাকে কুমিল্লায় আত্মীয় বাড়িতে লুকিয়ে রেখে নিজেই গত ১৩ জানুয়ারি কেন্দুয়া থানায় লিখত অভিযোগ করেন। পরে শিশু কন্যাটি হারানোর সাধারণ ডায়রি ভুক্ত করে থানা পুলিশ।

থানায় ডায়রিতে জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১১ জানুয়ারি তার স্ত্রী মেয়ে মাইশাকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন মাইশা বিচানায় নেই।

মাইশা নিখোঁজের খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর বাড়িতে এসে সম্ভব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

থানা পুলিশ বিষয়টি ডায়রিভূক্ত করে গুরুত্বসহকারে অনুসন্ধান শুরু করেন।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী মেয়েকে লুকিয়ে রাখার নাটকের কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের কথামত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ভিকটিম মাইশা আক্তার (৫) কে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বাহের চর গ্রামে ভিকটিমের বড় খালা মোসাঃ মাসুদা বেগমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া থানা ও দাউদকান্দি থানার পুলিশ। বিকালে ভিকটিম শিশুটিকে কেন্দুয়া থানায় আনা হয়েছে ।

এব্যাপারে কেন্দুয়া থানা ওসি আলী হোসেন পিপিএম জানান, প্রতিপক্ষের সাথে একখণ্ড ভূমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। তাই প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য নিখোঁজের ঘটনা সাজিয়েছিল তারা। আমাদের কাছে অভিযোগ আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। উর্ধতন কতৃপক্ষকের পরামর্শে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।