ডেস্ক রিপোর্ট : রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তাবলিগ জামাতের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

এ দিন আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন লাখো মুসল্লি। মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রোববার ভোর ৪টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ এটি। বিশ্ব ইজতেমা তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সমাবেশ।

তুরাগ নদীর তীরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় মুসলমানদের বিশাল এই মিলনমেলা। পৃথিবীর নানা দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ জমায়েতে যোগ দেন। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়মতান্ত্রিকভাবে এ মহাসমাবেশ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

এ বছরেরটি বিশ্ব ইজতেমার ৫৪তম আসর।

তাবলিগ জামাতের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে। ঢাকার কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। তখন এ সমাবেশ কেবল ইজতেমা নামেই পরিচিত ছিল।

তাই ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ওই বছর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নিতে শুরু করেন। প্রতি ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। তখন থেকে ‘বিশ্ব ইজতেমা’ নামে এটি পরিচিতি পায়। এরপরের বছর থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরের বিশাল খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সমাবেশ।

সৌদি আরবের পবিত্র হজের পর বিশ্ব ইজতেমা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ। ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের এক বিশাল মিলনমেলা। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন প্রায় চল্লিশ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।