অনলাইন ডেস্ক : বিয়ে সারা জীবনের বন্ধন। তাই এ ব্যাপারে খুব ভেবে-চিন্তে পদক্ষেপ করতে হয়। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে উভয় পক্ষের কয়েকটি বিষয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। বিস্তারিত জানিয়েছে এই সময়।
পাত্র বা পাত্রীর উপার্জন-
পাত্র বা পাত্রীর কর্মক্ষেত্রে খোঁজ নিন, তার উপার্জনের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। তিনি কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত কি না বা তার আয়ের উৎস যথাযথ কি না সে ব্যাপারে খোঁজখবর করুন। অনেক সময় ছেলে কম বেতন পেলেও তা বাড়িয়ে বলা হয়। আবার কর্মক্ষেত্রে পদমর্যাদা ছোট হলে তা-ও গোপন করা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা-
পাত্র বা পাত্রীক শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন। কারণ শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে অনেক তথ্য গোপন করে অনেকেই। বহু ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে বলা হয়। অতএব এ ক্ষেত্রেও নিশ্চিত হয়ে নিন।
ডাক্তারি পরীক্ষা করান-
আমাদের সমাজে এর তেমন প্রচলন না-হলেও ডাক্তারি পরীক্ষা করা জরুরি। ছেলে বা মেয়ের এইডস, হেপাটাইটিস বা কোনো যৌন রোগ আছে কি না, তা জানা খুবই দরকার। যাতে তাঁর সঙ্গী সেই রোগে আক্রান্ত না-হয়। তাই বিয়ের আগে অবশ্যই ডাক্তারি পরীক্ষা করান।
পারিবারিক প্রেক্ষাপট যাচাই করে নিন-
বিয়ের আগে কনে বা পাত্রের পরিবার সম্পর্কেও খোঁজখবর করা জরুরি। বিশেষ করে যৌথ পরিবারে বিয়ে করলে অবশ্যই খোঁজ নেবেন। তাই পারিবারিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জেনে তবেই বিয়ের দিকে এগোন।
পারিবারিক মেডিকেল হিস্ট্রি-
পারিবারিক প্রেক্ষাপটের মতো পারিবারিক মেডিকেল হিস্ট্রি জানাটাও খুবই জরুরি। কারণ বিশেষ কিছু রোগ বংশগতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে বিস্তার করে। যেমন অটিজম, মস্তিষ্ক বিকৃতী, হাঁপানি ইত্যাদি। এসবই আপনার জীবনে প্রভাব ফেলে। তাই খোঁজখবর করে নেওয়াই ভালো।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন-
যাঁর সঙ্গে আপনার বিয়ে হবে তাঁর সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতে বিয়ের পরে সংসার, ক্যারিয়ার ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা কম হবে। এমনকি বাচ্চা কবে নিতে চান এ ব্যাপারেও কথা বলুন। এছাড়াও আপনারা বিয়ের পর যৌথ পরিবারে থাকবেন, নাকি আলাদা থাকবেন, তা-ও বিয়ের আগে আলোচনা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।