অনলাইন ডেস্ক : অনেক সময় সঙ্গী পুরুষের নীরবতায় বিরক্ত হয় নারী। অনেক চেষ্টা করেও কোনো বিষয়ে পুরুষের মতামত পাওয়া যায় না। এতে সম্পর্কের বিষয়েও হতে পারে সমস্যা। আপনার সঙ্গী পুরুষটি ঠিক কোন প্রসঙ্গে কথা বলতে চায় না, এ বিষয়টি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

বেতনের অংক-

‘আপনার বেতন কতো?’ এ প্রশ্নটার উত্তর দিতে যে কোনো পুরুষই অপছন্দ করেন। এর বদলে যদি তাদের প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি কি একজন সমকামী?’ তাতেও এতোটা বিব্রত হয় না পুরুষেরা। সাধারণত তারা স্যালারি বাড়ার খবর, বা প্রমোশনের খবর দেয়। কিন্তু আপনি যদি তাদের স্যালারির সঠিক অংকটা জিজ্ঞাসা করেন তখনই বাঁধে বিপত্তি। এ প্রসঙ্গে একজন মেডিকেল প্রফেশনাল দীপ্তি শানু বলেন, ‘ছেলেরা তাদের গুণাগুন বিচার করা যায়, এমন তথ্য দিতে চায় না। এমনকি তাদের সঙ্গীদেরও তারা এ বিষয়ে তথ্য দিতে চায় না। এ কারণে তাদের বেতন কাঠামো জিজ্ঞাসা করা হলেও তারা সঠিক উত্তর দিতে অনিহা প্রকাশ করে।’

তার চেয়ে কেন বেশি উপার্জন করি না-

মানব সভ্যতা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। প্রফেশনাল জগতেও নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগোচ্ছে। কিন্তু পিছুটান রয়েই গেছে। অতীত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে পুরুষ একজন বাজি বিজয়ী এবং নারী ঘরবাড়ি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত। বিজনেস সাংবাদিক দিলশা শেথ বলেন, কোনো নারীর সাফল্য সাধারণত সমাজ গ্রহণ করে না। আর নারীর সাফল্যে পুরুষ অভিনন্দন জানালেও নিজের অবস্থান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। আর তাই পুরুষ নারীকে বলেনা, তার চেয়ে বেশি উপার্জনের চেষ্টা করতে।

বৈচিত্রময় বই পাঠের অভ্যাস গড়-

নারীদের বইয়ের পছন্দ কিংবা কোনো লেখকের প্রতি পক্ষপাত সবসময়ই পুরুষের অপছন্দ। এ বিষয়ে কোনোকিছু বলতে না পারা তাদের অসহায় করে তোলে। মিডিয়া প্রফেশনাল সাইদ নাকভি বলেন, তার মানে এটা নয় যে, আমরা তাদের সাহিত্য বিশারদ হতে বলছি। কিন্তু আমি তাদের বিভিন্ন ধরনের বইয়ের স্বাদ নেয়ার অভ্যাস করতে বলতেও চাইনা। এটা সে অন্যভাবে নিতে পারে।

বিশেষ মুহূর্তে অন্য নারীর প্রসঙ্গ-

কোনো বিশেষ ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে নারী-পুরুষ থাকার সময় পুরুষ কী অন্য কোনো নারীর প্রসঙ্গে কোনো কথা বলে, বা প্রশংসা করে? ফ্রিল্যান্স লেখিকা রোসি জেস বলেন, পুরুষরা কোনো নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় অন্য কোনো নারীর কথা তোলে না। এ সময় পুরুষের মনে অন্য নারীর বিষয়টা থাকলেও তা তারা মুখে বলে না।

পাবলিক সরে যাও-

রাস্তায় চলার সময় সঙ্গী নারীর দিকে নজর থাকে পুরুষের। এ সময় যে কোনো ঝামেলা এড়াতে প্রস্তুতিও থাকে। এ সময় কারো অপ্রিয় মন্তব্য শুনলে মাথা গরম হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এরপরও পুরুষরা সাধারণত তা সহ্য করে যায়। কারণ প্রকাশ করেছেন এক বিজনেস মিডিয়া প্রফেশনাল সৌরভ মিশ্র। তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তা থাকে হয়তো সে মনে করবে আমি সবসময় তাকে অতিরিক্ত পুলিশিং করি।’

পাঁচ মিনিট পর পর ডেকোনা-

কখনো কখনো ভালোবাসা অতিরিক্ত হয়ে যায়। এ সময় ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবাসা, কেয়ার, টান ইত্যাদি পুরুষকে ভীত করে তোলে। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র বলেন, যখন সে তার দেয়া প্রতিটা এসএমএসের দ্রুত জবাব চায় আর দেরি করলে রাগ করে তখন আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়। আমি তাকে বলতে পারি না, এটা কতোটা বিরক্ত করে। এটা আরো অনেক সমস্যা নিয়ে আসে।

আমার ‘প্রাক্তন’ নিয়ে কথা বলোনা-

যে কারো জীবনেই পুরনো সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা সংবেদনশীল বিষয়। এগুলো নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। অতীত অনেকসময় বিব্রতকর আর পুরুষরাও এ সম্পর্কে কথা বলতে বিব্রতবোঁধ করে।

আমি সবসময় জানি, কী করতে হবে-

কোনো বিচারের মুখোমুখি হতে চায়না পুরুষ। কোনো সমস্যা, পারিবারিক ঝামেলা, খারাপ আবহাওয়া ইত্যাদি হতেই পারে। একজন মেডিকেল প্রফেশনাল বলেন, সঙ্গীর কাছে কোনোকিছু চাইতে পুরুষ অপ্রস্তুত বোঁধ করে। এটি অনেকেই তাদের শক্তির প্রতি দুর্বলতার নিদর্শন বলে মনে করে।

বন্ধুদের ডাকার আগে পূর্বঘোষণা-

ছেলেরা কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই বন্ধুদের বাড়িতে ডাকতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে অতীতে সঙ্গীর যদি অসুবিধা সাধারণত তারা বিবেচনা করে না। এমন ক্ষেত্রে নারীরা তাদের আপ্যায়নের উপায় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে।