ডেস্ক রিপোর্ট : আজ রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্টপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহ’র সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

জাতীয়ভাবে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে এ দিবসটি পালিত হবে।

এ দিন সরকারি, আধাসরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্রবাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানার গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শিত হবে। রাতে সরকারি ভবন ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহানবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর অনুপম শিক্ষার অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাসমূহে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবনীর ওপর আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া, এ উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধনিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হবে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।