ডেস্ক রিপোর্ট : এবছর ময়মনসিংহ জেলায় বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।

বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর, কিন্তু চাষ করা হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৯ শত ৮৬ হেক্টর জমি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান জানান, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো চাষিদের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, ফলে কৃষকের ঘরে ফসল তুলতে তেমন অসুবিধা হবে না।

তিনি জানান, এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১ লাখ ১২ হাজার ৫ শত ১৮ মেট্রিক টন। ৭ মে তারিখ পর্যন্ত জেলায় উৎপাদনের প্রায় ৬৪% বোরো ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা ধান ঘরে তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ২ সপ্তাহে সকল ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ সময়ে ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কৃষকদের ধান পাকামাত্র দ্রুত সময়ে ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য কৃষিবিভাগ পরামর্শ প্রদান করেছে।

এ বছর ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ৮৫ হাজার ৮ শত ৪৩; মুক্তাগাছায় ৮০ হাজার ৮ শত ৩৪; ফুলবাড়িয়ায় ৮৬ হাজার ৬ শত ৪৬; ত্রিশালে ৮৩ হাজার ২ শত ১৬; ভালুকায় ৭৪ হাজার ৫ শত ১৬; গফরগাঁওয়ে ৮৪ হাজার ২ শত ৯৭; নান্দাইলে ৮৯ হাজার ৯ শত ৬৪; ঈশ্বরগঞ্জে ৮১ হাজার ১ শত ৭৩; গৌরীপুরে ৮৫ হাজার ৭ শত ৩৭; তারাকান্দায় ৯০ হাজার ৭ শত ১৬; ফুলপুরে ৯৭ হাজার ৯ শত ৪৬; হালুয়াঘাটে ১ লাখ ৬ হাজার ২৩ এবং ধোবাউড়া উপজেলায় ৬৫ হাজার ৬ শত ৭ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ২৫নং ওয়ার্ডস্থ দিঘারকান্দার কৃষক মো. আমানত উল্লাহ’র কাছে বোরো মৌসুমের আবাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ার প্রভাব না থাকায় ফলন নিয়ে ইতিবাচক প্রত্যাশার কথা জানান। এসময় কাঠা প্রতি ৫ মণ ধান উৎপাদনে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চাষাবাদের খরচের বিপরীতে ধানের ক্রয়মূল্য অনুযায়ী ধান বিক্রিতে লাভবান হবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, এ বছর কৃষকের কাছ থেকে ধানের ক্রয়মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার এ বছর ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে বোরো মৌসুমে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পেয়েছে বলে কৃষকদের পক্ষ থেকে জানা যায়। আবাদ মৌসুমে আর্থিক, সার, বীজ বিতরণ, পরামর্শগত সহায়তা প্রদানে ভবিষ্যতেও সরকার সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত ভূমিকা গ্রহণের জন্যও কৃষকরা আহ্বান জানান।