স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচীতে বিনা উসকানিতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত, ৬৩ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার ও জনসভা পন্ড করে দেয়ার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি।
শনিবার বিকেল পাঁচটায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নেত্রকোনায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড করতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আদালতে গ্রেফতারকৃতদের ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে গিয়ে তিনজন আইনজীবী এবং খাবার নিয়ে যাওয়ায় চারজন বিএনপিকর্মী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও মারধরের শিকার হন। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নেত্রকোনায় বিএনপির ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের দায় প্রশাসন এড়াতে পারবে না। আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৯ বার নেত্রকোনায় হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ বরাবরই নিরবে রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, দশ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অধীনে নেত্রকোনা জেলা শহরের বনোয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির সমাবেশের আয়োজন করে। এজন্য পুলিশ সুপার বিএনপিকে মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে শহরের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালায় এবং মারধর করে নেতাকর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এসময় ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নূরুল হক, অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খানসহ ময়মনসিংহ মহানগর ও উত্তর জেলা এবং নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ হামলা ও মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।