(১) প্রতিদিন শ্যাম্পু বা তেল কখনই মাথায় ব্যবহার করা যাবে না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে ঝরে পড়ে। সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন ভালোভাবে গরম তেল দিয়ে চুল এবং মাথার স্কাল্প ভালোভাবে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি নারিকেল তেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল এর মতো প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাবে। এবং চুল পড়া বন্ধ করে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
(২) পেঁয়াজের রস, কাস্টার ওয়েল, নারিকেল তেল, অ্যালোভেরাতে চুল ঘন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব মিনারেলস এবং ভিটামিন রয়েছে। সপ্তাহান্তে একবার চুলে ব্যবহার করে তা এক ঘন্টার জন্য রেখে দিয়ে চলে ভালোভাবে শ্যাম্পু করলে ধীরে ধীরে চুল ঘন হতে থাকবে।
(৩) চুল পড়ার অন্যতম কারন গুলোর একটি হচ্ছে পরিমিত পুষ্টির অভাব। আপনার চুল যদি পরিমিত পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাবে তা সহজেই দুর্বল হয়ে ঝরে পড়বে। তাই খাদ্য তালিকায় বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাদাম, ডিম, দুধ, মাছ, দই এর মত খাবারগুলোতে ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। তাই এসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া পালং শাক, বাধা কপি, পেয়ারা, কমলা, স্ট্রবেরির মতো ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে।
(৪) চুলে কোনোভাবেই ও প্রয়োজনীয় জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা যাবে না। খুশকি ও মাথার শুষ্কতার সমাধানে ভালো মানের শ্যাম্পু, তেল এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
(৫) প্রতিরাতে শুতে যাওয়ার আগে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধির জন্য স্ক্যাল্পে আঙ্গুল দিয়ে ড্রাই ম্যাসাজ (তেল দিয়ে মেসাজের ন্যায় ) করতে হবে। এতে করে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে সাথে সাথে চুল ঘন করতে সহায়তা করবে।