কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে ওঠবে উপজেলার হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।দেবী দুর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি। এবার মোট ৫১ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় তিথিতে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি, গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি ও সাধারণ পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৭ টি। তাছাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী পূজা মন্ডপ রয়েছে চারটি - গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া মজুমদার দূর্গাবাড়ি মন্দির, কান্দিউড়া ইউনিয়নের তাম্বুলীপাড়া দূর্গা মন্দির, পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই ভৌমিক বাড়ি পূজা মন্দির ও মোজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর পূর্বপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কেন্দুয়া হরিসভা দূর্গা মন্দিরের কাজ শেষ ও কান্দিউড়া সাহাপাড়া দূর্গা মন্দিরের তুলির আঁচড় বাকী।
পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অনিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতিমায় রং এর কাজ চলছে। তাও প্রায় শেষের দিকে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজল কুমার সরকার বলেন, প্রতিটি পুজা মন্ডপে শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রেখে পুজা উদযাপিত হবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে বাঙালি সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হবে প্রত্যাশা করি।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুনীল পোদ্দার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় অন্যান্য বারের মতো এবারও সুন্দর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হকের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যে বিট পুলিশের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও চৌকিদার প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তায় তৎপর থাকবে।মূলত ষষ্ঠী থেকে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল জানান, শারদীয় পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।