স্টাফ রিপোর্টার : মহাসড়কে মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলে তাদের হাত-পা বেধে সর্বস্ব লুটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় অপহৃত চারজনকে উদ্ধার সহ মাইক্রো জব্দ করে পুলিশ। গত ৪ নভেম্বর নগরীর পাটগুদাম থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেন কোতোয়ালী মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব জানান।

তিনি আরো বলেন, গত ৪ নভেম্বর কোতোয়ালী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সকালে পাটগুদাম এলাকায় ডিউটিকালে পুলিশ দেখে একটি মাইক্রো থেকে রফিক নামে একজন চিৎকার করে। দায়িত্বরত পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মাইক্রো থেকে আল আমিন, মোঃ বুলবুল, মোঃ রফিক নামে অপহৃত তিনজনকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় মাইক্রো থেকে অপহরণকারী মফিজুলকে আটকসহ মাইক্রো জব্দ করে। উদ্ধারকৃতরা পুলিশকে জানায় মাইক্রোসহ তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় চক্রের আরো ৬ জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মাইক্র চালক আল আমিন বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, অপহৃত ভিকটিম, আটকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অপহরনকারীরা গত ৩ নভেম্বর রাতে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ গেইটের সামনে থেকে টাঙ্গাইল মির্জাপুর যাওয়ার কথা বলে অপহৃত মোঃ আল আমিনের চালিত মাইক্রোবাসটি ৬ হাজার টাকায় ভাড়া নেং। আল আমিন তার হেলপাড় মোঃ বুলবুল সহ রওনা হলে অনুমান ১ কিঃ মিঃ দূরে যাওয়ার পরেই আটককৃত সহ পলাতক আসামীরা তাদের সাথে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ীটি থামিয়ে চালক মোঃ আল আমিন এবং হেলপাড় মোঃ বুলবুলকে হাত, পা, মুখ বেধে পিছনের সিটের নিচে ফেলে রাখে। পরে অপহরণকারীরা উক্ত গাড়ীটি চালিয়ে রাস্তা থেকে বিভিন্ন যাত্রীদের অপহরণ করে গাড়ীতে উঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে রাস্তায় ফেলে দেয়। চক্রটি একই কায়দায় ৪ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা এলাকা থেকে মোঃ রফিককে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে টাকা আদায়ের জন্য ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ৪ নভেম্বর সকালে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে পৌঁছলে চক্রটির সাথে থাকা অস্ত্র বের করে উক্ত যাত্রী মোঃ রফিককে ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। রফিক পুলিশকে দেখে চিৎকার করলে পাটগুদামে থাকা দায়িত্বরত পুলিশকে দেখে চিৎকার করলে তাদেরকে উদ্ধার সহ চক্রের একজনকে আটক করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন তদন্তকালে ঘটনায় জড়িত পলাতক আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মফিজুল ওরফে মফিজ, আল মামুন ওরফে সাগর, আমিনুল ও ফরমান।

এর আগে ঘটনার অন্যতম আসামী মোঃ মফিজুল ওরফে মফিজ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।