ভালুকা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উদাসিনতার কারণে রোল নম্বরে গড়মিল হওয়ায় ভালুকার একটি কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ ১৫টি কলেজের বহু শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরে বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানাযায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ভালুকা পরীক্ষা কেন্দ্র-৩ মল্লিকবাড়ি শহীদ নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে অংশগ্রহন করেন ৫৬জন পরীক্ষার্থী, এর মাঝে মাত্র ১৬জন কৃতকার্য হয়েছেন।
মানবিক শাখায় অংশগ্রহণকারী মোছাঃ কাকন আক্তার ৪০৮৭২৪ ও ইসরাত জাহান জেরিন ৪০৮৭২৩ রোল নম্বরে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। দু’জনেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।
এদিকে, রোববার (২৬ নভেম্বর) এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলে, কাকন আক্তার তার রোল নাম্বারে অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখেন, নিজের নামের পরিবর্তে সুসং দূর্গাপুর সরকারী মহাবিদ্যালয়ের মাজাহরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর নাম আসে।
একই ঘটনা ঘটেছে ওই কলেজের ইসরাত জাহান জেরিনসহ ৫১ জন শিক্ষার্থীর।
ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ১৫টি কলেজেই এ ঘটনা ঘটেছে।
ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তারা সাড়ে ছয় হাজার টাকায় পরীক্ষার ফরম পুরণ করে প্রবেশপত্রে পাওয়া রোল নম্বরে সব পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন কলেজে গেলে কলেজ অধ্যক্ষ মো হাফিজ উদ্দিন সুমন তাদের হাতে একটি নতুন প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন। তাদের দাবি, রোল নাম্বার উলট পালট হওয়ার করণে তাদের খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয়নি।
ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থী মোছাঃ কাকন আক্তার জানান, তিনি ফেল করার কথা নয়। ৪০৮৭২৪ রোল নম্বরে তিনি সকল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু রেজাল্টের জন্য কলেজে গেলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তাকে ৭০৮৭২৪ রোল নম্বর উল্লেখিত প্রবেশপত্র হাতে ধরিয়ে দেন।
অধ্যক্ষ মো হাফিজ উদ্দিন সুমন জানান, এসব বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই, সব কিছু বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।
মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জুয়েল জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে এ বছর ৮১৫ জন পরীক্ষা দিয়েছে। তার মাঝে ৩০-৩৫ জনের এ জাতীয় সমস্যা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু সায়েম মো: হাসান জানান, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এ বোর্ডে শতকরা ৫জন পরীক্ষার্থীর এ সমস্যা হয়েছে। এক মাস পূর্বেই স্বস্ব কেন্দ্রে সংশোধিত প্রবেশপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।