কেন্দুয়া সংবাদদাতা : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মনকান্দা এম.ইউ আলিম মাদ্রাসা এন্ড বিএম কলেজ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতায়র অভিযোগে তাঁকে প্রায় চার ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত প্রিন্সিপাল আবুল মোকাররম মোহাম্মদ মহিবুল্লাকে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল হক কল্যাণ ও কেন্দুয়া থানার এসআই মোঃ রুকন উদ্দিন সহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে নিরাপদে বের হয়ে যেতে সহায়তা করে।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক সুলতানা পারভীন বলেন, ২০১৬ সালে আমার বোন ও বোন জামাইয়ের নিয়োগের জন্যে প্রিন্সিপাল টাকা পয়সা নেয়। কিন্তু নিয়োগ না দিয়ে টাকা মেরে দেয়। টাকা চাইতে গেলে আমার সাথে অশালীন আচরণ করে ও দুই বছর যাবত আমার বেতনভাতাদি বন্ধ করে দেয়।
মনকান্দা গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন খান বলেন, প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাঁর অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। প্রতিষ্ঠানের সমস্ত হিসাব -নিকাশ দিতে হবে। তা না হলে আমরা তাঁকে প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেবো না ।
মনকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ আলী উসমান বলেন, সুলতানা পারভীনের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে জানতে গেলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ও খারাপ আচরণ করেন ।
প্রিন্সিপাল আবুল মোকাররম মোহাম্মদ মহিবুল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের কেউই জড়িত নন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। কিছু দিন যাবত আমি অসুস্থ অবস্থায় বসায় আছি।