ডেস্ক রিপোর্ট : চালের উচ্চ দাম কমাতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের কোনো প্রতিফলনই নেই রাজধানীরে চালের বাজারে। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছে পাইকাররা দাম বাড়াচ্ছে। পাইকাররা বলছে মিলাররা দাম বাড়াচ্ছে।

খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে বাজার ও ধরনভেদে ৭৫ টাকা টাকা, বিআর-২৮ এর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বাজার ভেদে একই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা। স্বর্ণা প্রতি কেজি ৫২ থেকে ধরনভেদে ৫৫ টাকা; পায়জামের প্রতি কেজি ৫৫ টাকা। কাটারিভোগ প্রতি কেজির দাম ৮৫ থেকে ধরনভেদে ৯০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে যে দামে চাল বিক্রি হয়েছিল, একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার তদারকিতে নামার পর চালের দাম কমার কথা বলা হলেও বাজারে এর প্রতিফলন নেই। কোথাও কোথাও নতুন করে বেড়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, চালের দাম কমার কথা বলা হলেও সেই চাল এখনও বাজারে আসেনি। আর যেটা কমানোর কথা শোনা যাচ্ছে বস্তাতে ৫০ টাকা কমানো হয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, ৫০ কেজি চালের বস্তাতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। সরকারের তদারকির ফলে শোনা যাচ্ছে চালের দাম ৫০ টাকা কমানো হবে। কিন্তু সেই বাড়তি দামের চাল কেউ এনেছিল, কেউ অনেনি। অধিকাংশ খুচরা বিক্রেতা আগের চাল, আগের দাম বিক্রি করছে। নতুন দামের চাল বিক্রি শুরু করলে দাম বাড়াতে হবে।

বাজারে দেখা যায়, আগের কম দামে কেনা চাল বিক্রি করছে কিন্তু দেখাচ্ছে পরে বেড়ে যাওয়া দামে কেনা রশিদ। দাম কমার ক্ষেত্রে দেখানো হচ্ছে আগের বেশি দামের রশিদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে।

চালের দাম অস্থিরতা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত তদারকির প্রয়োজন বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, একইসঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা এবং চালের উৎপাদন স্থল, আড়ত ও ভোক্তা পর্যায়ের বাজার পর্যন্ত একসঙ্গে তদারকি করতে হবে। যাতে একে অপরকে দোষ দেখাতে না পারে।