সিরাজুল ইসলাম আতশি : ইটনায় হাওড় অঞ্চলের পোষের শেষে মাঘ। বেড়েছে ঘনকুয়াশা আর টান্ডা বাতাশের দাপঠ। তীব্র ঠান্ডায় জন জীবনে দেখা দিয়েছে স্তবিরতা। সকালে বিভিন্ন হাট বাজারে দেরি করে খুলছে ব্যবসা প্রতিষ্টান আবার সন্ধ্যার পর পর অধিকাংশ দোকান পাঠ বন্দ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলান তাদের স্তবিরতা নেয়। মাঘের হাড় কাপানোর শীত যেন তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত হাওড়বাসী কৃষকরা কাদা পানিতে নেমে ধান রোপন করছে।
কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের তথ্য মতে এ বছর ২৭,৫৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সর্বশেষ তথ্য মতে ২৭,৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়।
জাতভিত্তিক হাইব্রিড ৮,৫৩০ হেক্টর, উপসী ১৮,৭৬৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ধান ৪৫ হেক্টর জমিতে রোপন করা হয়। এতে ১,২৪,৬৮০ মেট্টিকটন চাউল উৎপাদিত হবে। এছাড়া পেয়াজ ২৩ হেক্টর, চিনা বাদাম ১৭০ হেক্টর, মাসকলাই ১৮৫ হেক্টর, মরিচ ৫৭০ হেক্টর, রসুন ২৮ হেক্টর, ধনিয়া ২১ হেক্টর, সরিষা ৫৩০ হেক্টর, গম ৪৩ হেক্টর, আলু ১৫৫ হেক্টর, মিষ্টি আলু ৩৩০ হেক্টর, সবজি ৫৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৭২০ হেক্টর এবং সূর্যমুখি ১০৪ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়।
ইটনা উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহাবুব ইকবাল দৈনিক সবুজকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকিলে বোরো আবাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।