শেরপুর প্রতিনিধি : ২০২৩ এর বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন শেরপুরের কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। তিনি বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করে এই পুরস্কার লাভ করেন।
কবি দুলাল তার নানা বাড়ী শেরপুর জেলার সদর উপজেলার যোগিনীমুরা গ্রাম ১৯৫৮ সালের ৩০ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস সদর উপজেলার চরখার চর গ্রামে। তার স্ত্রী অপি মাহমুদ এবং দুই কন্যা সন্তান অনাদি নিমগ্ন ও অর্জিতা। তার পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক এবং মাতা সারা শহীদুল্লাহ।
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল মূলত কবি হলেও শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করছেন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে নগরায়ন, নাগরিক জীবন, জীবনের জটিলতা, প্রেম, পরবাস, পরাবাস্তব প্রভৃতি প্রতিফলিত হয়।
বর্তমান বাংলা কবিতার মূলধারাকে তিনি শাণিত করছেন, বাঁক ও বিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন। কবিতায় যুক্ত করছেন নতুন টার্ম, নতুন ফর্ম। তাঁর 'তিন মিনিটের কবিতা' গ্রন্থটি তার উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি গদ্যের মতো পদ্য নিয়েও গবেষণা করেন। সেজন্য কবিতার বিষয় নিয়ে চিন্তার গভীরে প্রবেশ করেন। মানুষের মনোজগতের অন্তর্নিহিত খনিজ তুলে আনেন ডুবুরির মতো। ফলে দুলালের কবিতা হয়ে ওঠে ব্যতিক্রমধর্মী তথা স্বাতন্ত্যচিহ্নিত। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে প্রবাসযাপন করলেও এক মুহূর্তের জন্যেও তিনি শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। বরং প্রবাস জীবনের নানা অনুষঙ্গ তাঁর কবিতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। কখনো কখনো স্বদেশ ও বিদেশের নানা বিষয় আশায় দ্রবীভূত হয়েছে তাঁর কবিতাং; বলা যেতে পারে, তা এক ধরনের চিন্তার অনুবাদ।
ছাত্রাবস্থায় দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতার জীবন শুরু। পরে দেশের বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান। এক সময়ের জনপ্রিয় বিটিভির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’র উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রবাসী বাঙালিদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন নিউজ এজেন্সি ‘স্বরব্যঞ্জন’, সেই সাথে ‘পাঠশালা’র প্রকাশনা। বর্তমানে তিনি সপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কানাডাস্থ বিশেষ প্রতিনিধি এবং সাপ্তাহিক বাংলা মেইলের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন এবং ১৯৭১’ নিয়ে গবেষণা করছেন।