গোলাম রব্বানী-টিটু: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় রঙ্গিন ফুলকপির চাষে কৃষকের মাঠে সৌন্দর্য শোভা পাচ্ছে। রুঙ্গিন ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বৃদ্ধি পাচ্ছে অপর দিকে কৃষকের মাঠে রঙ্গিন ফুলকপির ফসল ভালো হওয়ায় ফলে দেখতে সৌন্দর্য ও মনোরম দৃশ্যে পরিণত হয়েছে ফসলের মাঠ। ফুলকপির দাম বাজারে ভালো থাকায় কৃষকরা বেজায় খুশি হয়ে বাজারজাত করছেন।

বিগত দুই বছর থেকে এই উপজেলায় রঙ্গিন ফুলকপির চাষে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ে চাষ করতে আগ্রহ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। রঙ্গিন ফুলকপির উৎপাদন বৃদ্ধি সহ এর পুষ্টির গুনগত মান অত্যান্ত ভালো।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে ফুলকপি চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে কাজ করছেন। কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প ও বৃহত্তর অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ প্রদর্শনী করে উপজেলার অনেক জায়গায় রঙ্গিন ফুলকপির চাষ করিয়ে কৃষকের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রেখেছেন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর। এখন ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার ফলে কৃষকরা ধানের চেয়ে এই সবজির চাষ করবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানান, উপজেলার ২৬৪ শতাংশ ভূমিতে রঙ্গিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের চাষ করাতে আগ্রহী করে তুলা হয়েছে। আগামীতে ফুল কপির চাষ আরো বাড়বে বলে জানান।

বিষমুক্ত তরতাজা রঙ্গিন ফুলকপি মাঠ থেকে তুলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ,ডি,এম শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইঁয়াকে উপহার প্রদান করেন স্থানীয় কৃষি অফিসার। রঙ্গিন ফুলকপির বাজারজাত ও ফসল দেখতে পেয়ে অনেক কৃষক আগামীতে চাষ করবে বলে জানা গেছে।