নিজস্ব সংবাদদাতা : নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জাল রশিদ তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগে মো. আল মুনসুর (৪০) নামে এক কম্পিউটার দোকানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আল আমীন বাদী হয়ে সোমবার রাতে এ মামলা করেন। এদিন দুপুরে তার কম্পিউটার দোকানে অভিযান চালায় প্রশাসন। কম্পিউটার চেক করে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পর সেটি জব্দ করা হয়। তবে মামলার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন মুনসুর।

অভিযুক্ত আল মুনসুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে। পূর্বধলা শহরের একটি দোকানে কম্পিউটার কম্পোজ, চাকরির আবেদন ও জমির নামজারির আবেদন সংক্রান্ত ব্যবসা করেন।

মঙ্গলবার বিকালে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা থানা রোডে একটি দোকানে কম্পিউটার কম্পোজ, চাকরির আবেদন ও জমির নামজারি সংক্রান্ত আবেদন করেন আল মুনসুর। গত জানুয়ারিতে উপজেলার লাউয়ারি গ্রামের আ. আজিজ খান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য ১০ হাজার ৯৫০ টাকা নেন মুনসুর। টাকা জমা না দিয়ে নিজের কম্পিউটার থেকে জাল একটি ভূমি উন্নয়ন কর রশিদ প্রিন্ট করে আজিজ খানকে দিয়ে দেন মুনসুর। আজিজ খান পহেলা ফেব্রুয়ারি সেই রশিদ ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমা দিয়ে জমি খারিজ করতে যান। যাচাই করে রশিদটি জাল বলে নিশ্চিত হন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। বিষয়টি তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আকতারকে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আল মুনসুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান।

মামলার বাদী ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আল আমীন মামলায় আরও উল্লেখ করেন, আল মুনসুর দীর্ঘদিন ধরে তার দোকানে কম্পিউটার ব্যবহার করে জাল ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ তৈরিসহ বিভিন্ন সনদপত্র প্রস্তুত করে মানুষের কাছ আর্থিক সুবিধা নেয়।

পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, মামলার পর মুনসুর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে জালিয়াতির খবর পেয়ে মুনসুরের দোকানে অভিযান চালানো হয়। কম্পিউচার চেক করে জাল ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদটির হুবহু সফট কপি দেখতে পাই। পরে তার কম্পিউটার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এটি একটি বড় ধরনের প্রতারণা।