ডেস্ক রিপোর্ট : শান্তির জন্য একতাবদ্ধ হওয়া এই মূলসুরকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ১৩ ফেব্র“য়ারী শান্তি মিত্র সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে আন্তঃধর্মীয় সৌহার্দ্য সপ্তাহ উপলক্ষে বোরাং রেসিডেন্সিয়াল ট্রেনিং সেন্টার কাচিঝুলিতে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা ও সহভাগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে ছিলো সৌহার্দ্য পদযাত্রা, সার্বজনীন প্রার্থনা, ধর্মীয় গুরুদের অংশগ্রহণে সহভাগিতা এবং সৌহার্দ্য বিষয়ক সংগীত সন্ধ্যা। শান্তিমিত্র সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুবর্ণা পলি দ্রং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হক, প্রতিনিধি ন্যাশনাল বাহাই সেন্টার, ড.ইদ্রিশ খান, প্রিন্সিপাল ডি এস কামিল মাদ্রাসা, ইমন মহারাজা রামকৃষ্ মিশন ময়মনসিংহ , ফাদার নরবার্ট গোমেজ পাল পুরোহিত শ্যামপুর ক্যাথলিক মিশন।
উপস্থিত ধর্মীয়গুরু গন কোরআন, বাইবেল, শ্রীমদভগবদগীতা, ও বাহাই তত্ত্বের গ্রন্থের আলোকে সহভাগিতা করেন। ধর্মীয় গুরু তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে সকল ধর্ম, জাতি বা গোত্রের মানুষ একসাথে সৌহার্দ্যপূর্ন অবস্থায় থাকে পারে এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারে তা আলোচনা করেন। ধর্মীয় গুরুদের বক্তব্যের মাধ্যমে আরও যে উঠে আসে প্রতিটি ধর্মই শান্তি আর সম্প্রীতির কথা বলে। মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বাণী দৃঢ়ভাবে উচ্চারিত হয়েছে প্রতিটি ধর্মে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেও যেনো এই ধর্মকে ব্যবহার করে সমাজের আন্তঃধর্মীয় সংঘাতকে উসকে না দেয় সেই বিষয়কে নজর রাখতে হবে। আর আন্তঃধর্মীয় সৌহার্দ্যবৃদ্ধির ফলে এই সংঘাত রোধ করা সম্ভব।
খ্রিস্টান, সনাতন, মুসলিম ও বাহাই সম্প্রদায়ের ধর্মীয়গুরু ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মীবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৮০ জন অংশগ্রহন করেন। শান্তি মিত্র সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুবর্ণা পলি দ্রং বলেন শান্তি মিত্র সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিবছর এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করণে সকলকে নিজের জায়গা থেকে শান্তি স্থাপনে অংশীদার হতে আহ্বান করে থাকে।