অনলাইন ডেস্ক : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে অতিথিদের সামনে কনেকে চুমু দেওয়ায় ঘটনায় সাবেক প্রেমিক জিহাদ হাওলাদারকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় কনের মায়ের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রেমিককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার বাগধা গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে স্কুলে পড়াশুনার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলা সাতলা গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের ছেলে জিহাদ হাওলাদারের। প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিক জিহাদ হাওলাদার অন্যত্র বিয়ে করে। এদিকে তার প্রেমিকার সঙ্গে উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের শহিদ হাওলাদারের ছেলে সাইফুদ্দিন হাওলাদারের বিয়ে পাকাপোক্ত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কনের নিজ বাড়িতে গায়ে হলুদ দিতে আসেন বর পক্ষের লোকজন। কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে তার সাবেক প্রেমিক জিহাদ হাওলাদার ওই বাড়ি গিয়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে সাবেক প্রেমিকাকে চুমু দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়। তারা সাবেক প্রেমিক জিহাদকে ধরে পিটুনি দিয়ে ওই রাতেই আগৈলঝাড়া থানায় সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় হাবিবার মা হনুফা বেগম বাদী হয়ে ওই রাতেই আগৈলঝাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জিহাদকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনার পর হবু বর সাইফুদ্দিনের বাবা শহিদ হাওলাদার পুত্রবধূ হিসেবে হাবিবাকে মেনে নেবে না বলে মেয়ের পরিবারকে জানিয়ে দেয়।

হাবিবার মায়ের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম হাওলাদার জানান, গায়ে হলুদ আসরে কনেকে চুমু দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত জিহাদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর সাইফুদ্দিন হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কনে হাবিবাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।