শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধর্ষণের ফলে অন্তসত্তা হয়ে জমজ সন্তানের জন্ম দেয়া নারী তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে করা মামলার আসামী মোহাম্মদ আলীর (২৭) কে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে ইউনিয়নের ভাটিপাড়া এলাকা থেকে গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে। পরে ৩ ফেব্রুয়ারী রবিবার আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তোষ দেখা গেছে। আদালতের দ্বাওে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে কয়েক দিন আগে শেরপুর জেলা সদও হাসপাতালে স্বাভাবিক ডেলিভারি মাধ্যমে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। মোহাম্মদ আলী স্থানীয় হাসমত আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, মোহাম্মদ আলি আমাকে একজন মুন্সি দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে প্রায় ছয় মাস আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে যখন আমি তাকে বলি যে, আমি অন্তসত্তা। তখন সে আমাকে জানায় আমি তোমাকে বিয়ে করেনি। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করার কথা বললে ¯’ানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে সময় ক্ষেপণ করে। এবং গ্রাম্য বিচারকরা ছেলে পক্ষের কাছ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে আমাকে অভিযোগ তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও থানাও মামলা গ্রহণ করেনি। পরে আমি আদালতে মামলা করি। ওই নারী আরও বলেন, আমার দুইটি সন্তানের মধ্যে একটি সন্তানকে আল্লাহ নিয়ে গেছে। আমি আমার বাকি সন্তানের পিতার পরিচয় চাই।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, আমরা বিষয়টি প্রথম থেকেই খুব গুরুত্বের সাথে দেখেছি। আমরা একাধিকবার অভিযান করেছি আসামিকে গ্রেফতারের জন্য। জেলার বাইরেও অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।