মো. আবুল কালাম আজাদ : “বাংলা এবং বাঙালি জাতিসত্ত্বার ইতিহাসে ৭ই মার্চ একটি অবিস্মরনীয় অধ্যায়, ঐতিহাসিক ক্ষণ। টুঙ্গি পাড়ার অতি উর্বর জনপদে জন্ম নেওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবন-যৌব-আশা-আকাঙ্ক্ষার সবকিছু নিবেদন করে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামে বদ্বীপ খ্যাত একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড নিশ্চিত করেছেন, নিশ্চিত করেছেন আমাদের জন্য একটি লাল সবুজ পতাকা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া স্বাধীন বাংলাদেশ প্রশ্নে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এবং তাঁরই নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের যবনিকা আজকের বাংলাদেশ। এই চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে আমাদেরকে পথ চলতে হবে, জাতির জনকের সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রশ্নে সবাইকে জেগে উঠতে হবে এবং জাগিয়েও তুলতে হবে ” ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চে এসব আবেগ মিশ্রিত কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সকালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে আনন্দ র্যালীর আয়োজন করে।
বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে র্যালিটি বিনা চত্বও থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি হয়ে বিনা চত্বরের বঙ্গবন্ধু মুরালে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক অর্পণ করেন। পুস্প স্তবক অর্পণ শেষে বিনার সকল পর্যায়ের বিভাগীয় প্রধান, সকল নির্বাহী, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, বহু ত্যাগ ও তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই স্বাধীনতা। দিনের পর দিন
রাতের পর রাত বহু সংগ্রামের মাধ্যমেই পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করেই যেন এই সোনার বাঙলা স্বাধীনতা অর্জন করে। আর তাকে রক্ষা কিংবা সুসংহত করার জন্য আমাদের সবাইকে জাতীয় জীবনে অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশ, মাটি আর মানুষের কল্যাণে আমরা সবাই সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করবো এবং জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্বীয় কর্তব্য কর্মে অধিকতর মনোযোগ নিবেদন করতে হবে। বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ, চেতনায়-উদ্দীপনায়, কর্মে-মন্ত্রে। ড. মির্জা দেশ মাতৃকার মুক্তির প্রধান কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রম হারা দুই লক্ষ মা-বোনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আয়োজনের অংশগ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দিনের কর্মসূচী সমাপ্তি ঘোষণা করেন।