নিজস্ব প্রতিনিধি : নির্বাচন নিয়ে ফেসবুক একটি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল আহমেদকে নির্মভাবে পিটিয়েছে নবনির্বাচিত এমপিপুত্র ও তার অনুসারীরা। রোববার বেলা ১১টায় ছাত্রলীগ নেতাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বাসায় এই নির্মম নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহানসহ নেতৃবৃন্দ।

সোমবার দুপুরে ময়মননসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান অভিযোগ করে বলেন, ৯ মার্চ (শনিবার) মেয়র পদে ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচনে এমপিপতিœ শামীমা আক্তার হেরে যাওয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের ফেসবুকে একটি পোষ্টকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসা থেকে এই নির্মম নির্যাতন চালায় এমপি পুত্র ও অনুসারীরা। এসময় এমপি নিজেও সম্পৃক্ত হন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান। পরে গুরুত্বর আহত ছাত্রলীগ নেতা ফয়সালকে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, এমপি আনিসের ছোট ছেলে সাদমান সামিনসহ কয়েকজন ফয়সালকে টেনে হেচরে মারধর করতে করতে বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘসময় আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চালায়। এসময় এমপি নিয়েও সংম্পৃক্ত হন এই বর্বরতার সাথে। পরে কৌশলে আহত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালকে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদসহ ছাত্রলীগ ও ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনের বাবা সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল মন্ডল ক্রন্দনরত কন্ঠে অভিযোগ করেন, এমপিও এমপিপতিœর নির্বাচন না করায় তার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এমপি অনুসারীরা। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। তিনি তার পুত্রের উপর হামলার বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদসহ ছাত্রলীগ ও ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।