ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি : শতবছরের পুরনো জামে মসজিদ ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং ১৫/২৪। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সরাতিয়া এলাকায় এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই নিন্দনীয় ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ-হতাশা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার এজাহার, মুসল্লী ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নে প্রায় শতবছর পূর্বে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মোবারক ফকির ও তাহের আলীর সহিত গভীর নলকূপের ভাগ-বাটুয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বে ৫০ গঞ্জ দূরত্বে পাঞ্জেগানা তৈরি করেন তাহের আলী। উভয়পক্ষ জু’আর নামাজ শেষে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এপর্যায় তাহের আলী, খলিলুর রহমান, শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার হাতুড়ি, শাবল, রড দিয়ে ঐত্যিবাহি মসজিদটি ভাংচুর করেন। এসময় আইপিএস, মাইক, ফ্যানসহ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী তারাবি নামাজ শেষে জড়িতদের শাস্তির দাবীতে মিছিল করেন।
এঘটনায় ভাংচুরকারী বলছেন- নতুন মসজিদ নির্মাণে ভাঙ্গা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, এলাকায় দু’পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ছিল। আমিসহ চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হয়েছি। মসজিদ ভাংচুর করা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। মুসল্লী আব্দুল খালেক বলেন, রমজান মাসে মসজিদে হামলা, ভাংচুর ইসরায়েলী নারকীয় তান্ডবকেও হার মানিয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে বাকীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসীকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।