মোহনগঞ্জ সংবাদদাতা : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের পল্লীতে অশ্লীল গালাগালের প্রতিবাদ করায় বাড়ি- ঘরে হামলা করে টিভিসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ দুই নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরে আহত দুই নারীকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামী রুমান মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মাঘান গ্রামে এ ঘটন ঘটে। ভুক্তভোগী নারীরা হলেন- উপজেলার মাঘান গ্রামের রোকন মিয়ার স্ত্রী সোমা আক্তার (৩০) ও তার ছোট ভাই রুমান মিয়ার স্ত্রী হেলেনা আক্তার (২৬)।

আর অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের আবুল মিয়া (৬৪), তার দুই ছেলে জনি মিয়া (২৮), রনি মিয়া (২৪) ও আবুল মিয়ার ভাই মোশাররফ মিয়া (৪০)।

অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাঘান গ্রামের আবুল মিয়ার ধানের জমি রয়েছে প্রতিবেশী রোকন মিয়ার বাড়ির সামনে। কয়েকদিন আগে রোকনের গরু আবুল মিয়ার জমির ধান খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে আবুলের ছেলে জনি ও রনি রোকনদের অশালীন গালাগাল করে। সোমবার সন্ধ্যায় আবার রোকনের বাড়ির সামনে গিয়ে অশ্লীল গালাগাল করতে থাকে আবুল মিয়ার ছেলে জনি ও রনি। এসবে বাধা দেয় রোকননের স্ত্রী সোমা ও রুমানের স্ত্রী হেলেনা। বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় পরে আবুল মিয়ার নির্দেশে জনি, রনি ও তার চাচা মোশাররফ লাঠিসোটা নিয়ে রোকনের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরের টিভি, ফ্রিজসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় সোমা ও হেলেনাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত হেলেনার স্বামী রুমান মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জনি মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মোহনগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আ. ছাত্তার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহতদের সাথেও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে দেখা যায়। দুইটি থাকার ঘরের মধ্যে আসবাবপত্র ভাঙচুর সহ জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া যায়।