ভালুকা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স ও লাইসেন্স না থাকা ও নোংরা পরিবেশের কারণে ১৪ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিককে সিলগালা এবং একটি বেসরকারী হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে। ২১ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে ওই সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোকে সিলগালা করে। এসময় নির্বাহী অফিসার আলী নূর খানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভালুকা জেনারেল হাসপাতাল পাঁচ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
জরিমানা সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো হলো, ভালুকা জেনারেল হাসপাতাল, খিরু ডায়াগনস্টিক, তাজিম ডায়াগনস্টিক, সুমন ডায়াগনস্টিক, কনক ল্যাব, রিজভী ডায়াগনস্টিক, সাজিম ডায়াগনস্টিক, হাসমত ল্যাব, ডেন্টাল ল্যাব, সুমাইয়া ডায়াগনস্টিক, ইনাম ডায়াগনস্টিক, আলনূর ডায়াগনস্টিক, মানবিক হসপিটাল ও বন্ধন হসপিটাল। এ সময় ভালুকা ডিজিটাল হসপিটালকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার বেশিরভাগই সরকারী হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন। অভিযোগ রয়েছে, এসব ক্লিনিকের মালিকরা গ্রাম থেকে সরকারী হাসপাতালে আসা নিরিহ ও হতদরিদ্র রোগীদের নিয়োগকৃত দালালদের মাধ্যমে কৌশলে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় ও নিন্মমানের টেস্টের বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো: হাসানুল হোসেন জানান, প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স না থাকা ও নোংরা পরিবেশের কারণে একটি হাসপাতালকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৪ টি ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালকে সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ওইসব ক্লিনিক ও হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী অফিসার আলী নূর খান জানান, বিভিন্ন অনিয়ম ও নোংরা পরিবেশের কারণে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একটি বেসরকারী হাসপাতালকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অন্যান্য ক্লিনিক গুলো সিলগালার বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলতে পারবেন।