তারাকান্দা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা একটি হত্যাকে কেন্দ্র করে আসামিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলা কমারগাঁও ইউনিয়নে হরিয়াতলা গ্রামে জাবেদ আলীর পরিবারের সহোদর দুই ভাই বোন নুরুল আমিন ও আম্বিয়া খাতুন এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমার বিরোধ চলে আসছিল।

ওই বিরোধের জের ধরে গত ১১ মার্চ দুপুরে বোন আম্বিয়া খাতুন, বোন জামাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ নুরুল আমিন ও তার ছেলে আশিকের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নুরুল আমীন গুরুত্বর আহত হয়। পরে ১৯ মার্চ ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুরুল আমীন। নুরুল আমিন উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নিহত নেতার লাশ গত ১৯ মার্চ দুপুরে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। এ সময় উপজেলার আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকমীরা জানাযায় অংশগ্রহন করেন। লাশ দাফন করার পর শতশত জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত আম্বিয়া খাতুন ও তার পরিবারকে বাড়িতে না পেয়ে নিজ বসত-ভিটায় বাড়ী ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এই ঘটনায় আম্বিয়া খাতুন ও তার পরিবার জানান, পারিবারিক জেরে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষ এমন ঘটনার সৃষ্টি করছেন। শতশত লোকজন পরিত্যক্ত বাড়িতে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে আমার পেনশনের ১৮ লক্ষ টাকা, পরিবারের ৫ভরি সোনা, দুইটা আলমারীসহ সেচপাম্পটি লুটপাট করে নিয়ে যায়।

হামলার পর ৯৯৯ ফোন দেওয়ার পর পুলিশ যাওয়ার পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ফুলপুর ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, হত্যা মামলার ঘটনায় তারাকান্দা থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে।

হত্যার খরব পাওয়ার পর আসামিদের বাড়িতে হামলার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভূক্তভোগী পরিবার।