আরিফ আহম্মেদ : রমজানের শুরুতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শাক-সবজির দাম অস্বাভাবিক বেশি থাকলেও এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেমে এসেছে, তবে কমেনি মাছ-মাংসের দাম। তরকারির দামে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
গৌরীপুর পৌর শহরে বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশে উৎপাদিত প্রায় সবধরনের শাক-সবজির দাম কমেছে। আমদানি নির্ভর পণ্যও রয়েছে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। তমধ্যে পেঁয়াজ ৫০-৬০, রসুন দেশি ১২০-১৩০, ভারতীয় রসুন ২০০-২২০, আদা ২০০-২২০, কাঁচা মরিচ ৫৫-৬০, আলু ৪০-৬০ টাকা।
পৌর শহরের বাসিন্দা গৃহিনী ফায়রোজ সুলতানা বলেন- আগে ৫০০ টাকার তরকারি কিনলে ব্যাগ ভরতো না, এখন ২০০ টাকাতে ভরে যায়। দামটা সবসময় এরকম থাকলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেতো।
সবজি বিক্রেতা মোস্তাফিজ জানান- রমজান মাসকে টার্গেট করে সব কৃষকরা সবজির চাষ করে থাকেন। শুরুতে দাম বেশি থাকলেও এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে প্রচুর তরকারি আসছে, যে কারণে দাম অনেকটা কমে গেছে।
কমেনি মাছ-মাংসের দাম, শনিবার গৌরীপুরে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০, মুরগী- ফার্ম ১৯০-২০০, সোনালী ৩৩০-৩৫০, দেশি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রিতা আজিজুর রহমান আরজু বলেন- সরকারের নির্ধারিত দামে আমাদের মাংস বিক্রির সুযোগ নেই। গরুর দাম না কমলে মাংসের দাম কমানো যাবে না। গরুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গরুর খাদ্যের দাম কমাতে হবে। তিনি আরও জানান- রোজায় মাংসের চাহিদা অনেক বেড়েছে, ১৫ রোজার পর আরও বাড়তে পারে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই ৩০০-৩৫০, কাতল ৩০০-৪০০, শিং ৪৫০-৫০০, সিলভার ২০০-২৮০, কার্প ২৬০-৩০০, টেংরা ৬০০, পুঁটি ৪০০, চাপিলা ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়াও দেশিয় মাছ গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, এখন ঢাল সিজন, বাজারে মাছের আমদানি কম। যে কারণে আপতত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাকিল আহমেদ জানান- রমজানে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পৌর শহর ও শাহগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত করা হয়েছে। মাছ-মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।