মোহনগঞ্জ সংবাদদাতা : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের হাওর এলাকার হাই স্কুল থেকে ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পথ আটকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে তিন বখাটে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে সোমবার দুপুরে উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকায় হাওরের পায়ে হাঁটা রাস্তায় ছাত্রীকে গতিরোধ করে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার আসামিরা হলো- উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে নিরব আহম্মেদ (২০), হাবিবুর মিয়ার ছেলে তাকসিন মিয়া (১৯) ও রুবেল মিয়ার ছেলে শ্রাবণ আহম্মেদ (১৯)।

আর ভুক্তভোগীর বাড়ি পাশ্ববর্তী গাগলাজুর গ্রামে। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মামলার অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ২৫ মার্চের অনুষ্ঠান শেষে ওই ছাত্রী স্থানীয় স্কুল থেকে পায়ে হাটার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। গ্রামের পায়ে হাঁটার রাস্তায় তখন ওই তিন যুবক তার পিছু নেয়। সুযোগ বুঝে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পাশের নির্জন জায়গায়। সেখানে গিয়ে ওই তিনজন বন্ধু তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। জোরজবরদস্তির সময় ছাত্রীর কাপর-চোপর ছিঁড়ে ফেলে, মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। পরে চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে ওই তিন বখাটে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা বলেন, মেয়েটাকে মারধর করে পিটিয়ে নাক-মুখসহ শরীরে ক্ষত করেছে। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় রক্ষা হয়েছে, না হয় তার সর্বনাশ হতো। এসব বখাটের জন্য মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার আওতাধীন আদর্শনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. সোহেল রানা বলেন, ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে আসামিরা।

আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।