অনলাইন ডেস্ক : এবার ঈদে ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। এই পথের যানজটপ্রবণ এলাকা হোতাপাড়া বাস স্টপেজ। এ ছাড়া ভবানীপুর ও বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা পার হতে সময় লাগতে পারে বেশি। ওই রাস্তায় চলাচলকারী বাসের হেল্পার জানান, রাস্তায় বিশৃঙ্খলভাবে অটোরিকশা-ভ্যান থাকার কারণে যানজট বেড়ে যায়।
প্রতিবছর ঈদযাত্রায় সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ থাকে। আর এর সঙ্গে সড়কে উন্নয়ন কাজও চলতে থাকে। তাই এবার ঈদ যাত্রায় ৫ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি হতে পারে ঈদে বাড়িফেরা যাত্রীদের। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ পাঁচ মহাসড়কের ১২২ স্পটে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে বেশি যানজটপ্রবণ ৫৯টি এবং কম যানজটপ্রবণ ৬৩টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঈদযাত্রায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ে কয়েকগুণ। তাই সড়কের যানজটপ্রবণ এলাকাগুলোতে বাড়ে ভোগান্তি। গাড়ির চাপ মোকাবিলায় এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে মহাসড়কের বেশ কিছু এলাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৪১টি স্পটকে। সাইনবোর্ড, শিমরাইল, ভবেরচর, আদমজী রোডসহ ১৫টি এলাকায় জটের আশঙ্কা বেশি। আর কম যানজটপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ২৬টি এলাকা।
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘœ করতে অধিকাংশ রাস্তা ফোর লেন করা হয়েছে। দুই-একটা জায়গায় কাজ বাকি থাকলেও ঈদের আগে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এদিকে সম্প্রতি সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি, পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈদযাত্রায় যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সাতটি কৌশল নির্ধারণ করা হয়। এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে-ঈদের আগের ৩ দিন এবং পরের ৩ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা; ঈদের দিনসহ আগের ৭ দিন এবং পরের ৫ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখা; শিল্পকলকারাখার শ্রমিকদের একত্রে ছুটি না দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা; জাতীয় মহাসড়ক ও করিডরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঈদের সাত দিন আগেই শেষ করা; সারা দেশের মহাসড়কগুলোর চিহ্নিত ১৫৫টি যানজট স্পট ঈদের আগে ও পরে নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় আনা ইত্যাদি।