সবুজ ডেস্ক: নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের আজ ৭১তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এ দিন তিনি নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেন তিনি। এরপর পলিমার ক্যামিস্ট্রির উপর পিএইচডি করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিস্ট্রি বিভাগে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর তিনি পেশা ছেড়ে পুরোমাত্রায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।

১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরক দিয়েই বাংলা কথাসাহিত্যে পালাবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। এর পর শঙ্খনীল কারাগার, লীলাবতী, জোছনা ও জননীর গল্প, মধ্যাহ্ন, বাদশাহ নামদারসহ দুইশোর বেশি উপন্যাস রচনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।

media image
নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের আজ ৭১তম জন্মদিন

তার উপন্যাসের চরিত্র হিমু, মিসির আলী, শুভ্র বইয়ের পাতা থেকে টেলিভিশনের পর্দা কিংবা সেলুলয়েডে তরুণ-তরুণীদের আপনজন হয়ে ওঠে। ১৯৮০ সালে নাটক রচনা শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার লেখা নাটক এই সব দিনরাত্রির জনপ্রিয়তার পর তিনি তৈরি করেন বহুব্রীহি, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, উড়ে যায় বকপক্ষীসহ বহু নাটক।

সিনেমা পরিচালক হিসেবেও পেয়েছেন তিনি সাফল্য। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমনি। এই সিনেমার জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। একই বছর তিনি একুশে পদক পেয়েছিলেন। এরপর তিনিও নির্মাণ করেন শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া এবং আমার আছে জলসহ বহু চলচ্চিত্র। তার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র ঘটুপুত্র কমলা।

এর পর থেকেই হুমায়ূন আহমেদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তাকে যেতে হয় যুক্তরাষ্ট্রে। কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ইন্তেকাল করেন হুমায়ূন আহমেদ।

প্রতি বছরের মতো এবারও হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশপল্লী সাজবে ভিন্ন সাজে। এ প্রসঙ্গে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, তিনি বেঁচে থাকতে প্রতিবছরই পরিবারের সবাই মিলে তার জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হতো। এ বছরও মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করা হবে।