আফজাল হোসেন, বারহাট্টা সংবাদদাতা : বারহাট্টা উপজেলা গুমুরিয়া গ্রামের ৯০ বছরের পঙ্গু বৃদ্ধা কে ঘর উপহার দিয়েছে আমেরিকা প্রবাসী আব্দুস সালাম খান সেলিম। তিনি বারহাট্টা উপজেলা কৈলাটি গ্রামের মৃত আঃ হাকিম খান এঁর বড় ছেলে।

ঝুপড়ি ঘরের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়েছিল বারহাট্টার এক সংবাদকর্মী। সেখানে পল্লীকবি জসিমউদদীনের আসমানী কবিতার কয়েকটি লাইন নকল করা হয়েছিল এভাবে- রসুলপুরের আসমানী কে দেখতে যদি চাও- ডেকলতলার কংস পাড়ে গুমুরিয়াতে যাও। পাখির বাসার ভেন্না পাতার ঘরটি এখন নাই-আসমানীরা থাকে এখন আসমানের তলায়। একটু খানি হাওয়া এখন লাগতে হয় না ঘরে-এমনি এখন সারাবছর বৃষ্টি বাদল পড়ে। পেটটা ভরে খায় না পেতে বুকের ক কান হাড়- হাতটি আবার ভেঙে গেছে দূর্ঘটনায় তার। ভাঙ্গা হাতে প্রতি হাটে ভিক্ষা বৃত্তি করে কোন রকম আসমানী দের ক্ষুধা বারণ করে..

ভিডিওটি তে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করা হলেও ঝুপড়ি ঘরটি মেরামতের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু আব্দুস সালাম খান সেলিম সৌদি আরবে ওমরাব্রত অবস্থায় এই অসহায় মহিলার ভিডিওটি দেখে সাথে সাথেই কমেন্ট করে জানিয়ে দেয় যে আমি ঘরটি করে দেবো।

এখানে যে আসমানীর কথা বলা হচ্ছে তার প্রকৃত নাম জরিওতের নেছা। তার স্বামী ৫২ বছর আগে মারা গেছে। তার কোন পুত্র সন্তান নেই। এক মেয়ে সে-ও অভাবী। এই মেয়ের একজন ছেলে সে প্রতিবন্ধী। দিন আনে দিন খায় পরিবারটি ঈদে একটি নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে চোখের কুনে জল এসে জমেছে ।

জরিওতের নেছা বলেন ৫২ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে, একটি ছেলে সে-ও ছোট বেলায় মারা গেছে। পলিথিনের একটি ঘরে বহুদিন ধরে বসবাস করে আসছি। মেম্বার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত গিয়েছি। টাকা ছাড়া কেউ ঘর পায় না। আমাকে যে এত সুন্দর ঘরটি করে দিয়েছে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের ব্যবস্থা করুক। এই ঘরে আমি প্রতিদিন দোয়া করবো।

৭ এপ্রিল রবিবার আব্দুস সালাম খান সেলিম এঁর ভাগিনা মাসুদুল হাসান ঘরের কাজ সমাপ্ত করে নতুন ঘরটি বুঝিয়ে দিয়েছে। এই সময় তিনি বলেন, সমাজ পরিবর্তন সরকারের একার ধারায় সম্ভব নয়। আমরা সবাই যার যার অবস্থানে থেকে একটু চেষ্টা করলে সমাজ আরও সুন্দর হয়ে যাবে।