ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ স্পেশাল বিজিএফ এর চার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। এজনে ওই ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় দু' হাজার দুস্থ মানুষ বিজিএফ বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের ২০২৪ সালের বিজিএপ তালিকায় ৩ হাজার ২০০ ব্যক্তির নাম রয়েছে। তালিকায় যাঁদের নাম আছে তারা চাল পায়নি।

চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বাবুল ও ইউপি সচিব কারসাজি করে নিজ লোকজনদের দিয়ে চাল উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম রবি।

স্থানীয় লোকজন জানান ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খসরু মিয়ার বাড়ির সামনে ইউনিয়ন পরিষদ তাই সে যোগদানের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের ইচ্ছে বা মুর্জি মতো ব্যাবহার করেছেন। তিনি নিজেকে এমপির লোক বলে পরিচয়দেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ায় সচিব খসরু মিয়া তাকে জিজ্ঞেস না করে অনেক কর্মকান্ড, সরকারি দান অনুদানসহ সকল কিছুই সম্পন্ন করে থাকেন।

২০২৪ সালের ঈদের স্পেশাল বিজিএফ চাল চেয়ারম্যানে প্রদান করা কাডে উপকার ভোগীর নাম ঠিকানা উল্লেখ না করায় অনুমোদিত তালিকা য় যাদের নাম আছেন এমন প্রায় দু' হাজার দুস্থ মানুষ বিজিএফ চাল বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া কাডে নাম ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় চেয়ারম্যান ও সচিব নিজেদের লোকজনকে দিয়ে চাল উঠিয়ে নেয়ায় প্রকৃত দুস্থরা চাল পায়নি।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বাবুল বলেন, কাড নাম ঠিকানা উল্লেখ না থাকালেও দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অভিযোগ করলে চাল বিতরণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া চাল বিতরণের সময়ে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।সচিব চাল দিয়েছে। তিনি বলতে পাবেন।

সচিব খসরু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ট্যাগ অফিসার প্যানের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এতে আমার কোন সুবিধা নেই।

ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। চাল বিতরণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।