নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : সুদীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ প্রতিটি মুসলমানের ঘরে নিয়ে আসে আনন্দের সওগাত। সারা বছরের ব্যস্ততা শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সত্যিই অনেক আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বছর ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, সেমিস্টার ফাইনাল, টিউশন এসব নিয়ে আমরা অনেক ব্যস্ত থাকি। ঈদুল ফিতরের সময় হল ছেড়ে বাড়ি যাওয়া, পরিবারের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করা আমাদের অন্যরকম অনুভূতি দেয়।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলাওল করিম ফয়সাল বলেন, ঈদ নিয়ে আসলে এখন আর ছোটবেলার মতো অনুভূতি কাজ করে না, এখন ঈদের দিন থেকে ঈদের আগের দিনগুলোই বেশি উপভোগ করি। ঈদ নিয়ে সবার অনেক উত্তেজনা, অনেক প্রস্তুতি, এই ব্যাপারগুলা দেখতে খুব ভাল লাগে। এখন ঈদের আমেজ বলতে নিজের মানুষ গুলোর আনন্দটাই বেশি উপভোগ করি ।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান সাগর বলেন,রোজার ঈদ সবসময় গ্রামে করলেও গতবছর যেতে পারিনি। তাই এবার আশা করি গ্রামের বাড়িতেই (কিশোরগঞ্জ) ঈদ উদযাপন করব। সবদিক থেকেই এবারের ঈদটা একটু অন্যরকম। আগে ছুটি খুব কম পাওয়া যেত, এবার হাতে বেশি ছুটি। ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করা যাবে।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী তাওসিফ ইফতি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গে ঢাকাতেই ঈদ করবো। ঈদে ঢাকার বাইরে খুব কমই যাওয়া হয়। ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় ঈদ করি পরিবারের সঙ্গে। ঈদে সবচেয়ে মজার মুহূর্ত হলো বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে মিলে ঈদের নামাজ পড়া। এটাই আমার কাছে ঈদের সবচেয়ে বেশি আনন্দের বিষয়। আর ঘোরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া, টিভি অনুষ্ঠান দেখাতো রয়েছেই।

ঈদ আমাদের দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার প্রতিযোগিতায় এক স্বর্গীয় প্রশান্তি এনে দেয়। তবে ঈদ আরও স্বার্থক হবে, যখন সমাজে ধনী গরীবের পার্থক্য থাকবে না,সবাই সমান ভাগে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারবো। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন আমরা রমজানের শিক্ষাটাকে ধারণ করতে পারবো বুকে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের ঈদ আনন্দটা সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যা আমাদেরকে আত্মকেন্দ্রীক করে ফেলছে। সে জগৎ থেকে বেরিয়ে সবার সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার আহ্বান রইলো সবার কাছে।