ডেস্ক রিপোর্ট : ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ/তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ/দে জাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ’—কাজী নজরুল ইসলামের অমর এই গানের সুরের সঙ্গে দ্যোতনা ছড়িয়ে আবারও এলো আনন্দের দিন, ঈদের দিন। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। এটি কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, বরং এর মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয় ইসলামে বর্ণিত সাম্যের জয়গান।

এ জন্য দেশব্যাপী ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মীরা পেয়েছেন উৎসব ভাতা। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে গ্রামে ছুটে গেছেন সাধারণ মানুষ।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই যেন ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে সেজন্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সমাজের সচ্ছল ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের মাঝে সমাগত। আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই।'

এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ঈদুল ফিতর উদযাপনকালে ঈদের আনন্দকে কাছের মানুষ এবং সমাজের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আজ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ মানেই আনন্দ। আসুন পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং সমাজের সব গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।’

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ইসলাম ধর্মীয় পরিভাষায় এর অর্থ হলো পুরস্কারের দিবস। দীর্ঘ এক মাস রমজানে সংযমের পর মুসলমানরা এ দিনে আনন্দ করেন। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী রমজান শেষ হলেই শুরু হয় শাওয়াল। উৎসব হিসেবে ঈদুল ফিতর পালন করা হয় এ মাসের প্রথম দিনে।