ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সজিব পার্ক নামে একটি পার্ক। পার্কে আটকে রাখা হয়েছে বন্যপ্রাণি, চলছে মাদক ও জুয়ার আসব। চলে উঠতি বয়সের প্রেমিক যুগলের নিয়মিত যাতায়াত। রাতের আধাঁরে চলে অসামাজিক কর্মকান্ড। আশপাশের বাড়িঘরের লোকজন প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর চলে নির্যতন।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের শৈলাটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে তার ছেলে সজিব মিয়া অবৈধ ভাবে গড়ে তুলেছেন পার্ক। পার্ককে আকর্ষনীয় করতে আটকে রাখা হয়েছে বন্যপ্রাণি বানর ও মেছুয়া বাঘ, আছে বিভিন্ন প্রকার পাখিও। বাড়ির পেছনের দিকে বিভিন্ন গাছ পালার আড়ালে ঝুপের মধ্যে রাখা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। বিশ্রামের জন্য আছে ঘর বিছানা ও বসার ব্যবস্থা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে লোকজনের যাতায়াত। সকালের দিকে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা ৩০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে প্রবেশ করে আড্ডা দিয়ে, ডেটিং করে বিকেলে বেড়িয়ে যায়।
ওই পার্কটি চার উপজেলা শিমানাবর্তী ও অজপাড়া গাঁয়ে নিরিবিলি পরিবেশে হওয়ায় পার্শবর্তী উপজেলা নান্দাইল, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল এলাকার লোকজনের আছে অবাদ যাতায়াত।
নিরিবিলি ও সীমানাবর্তী হওয়াতে এটিকে কেন্দ্র করে ভিতরে বাহিরে চলে মাদকে ব্যবসা এবং জুয়ার আসর, চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ডও। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় ঈদের পরদিন দু’দল যুবকের মধ্যে হাতাহাতী ঘটনাও ঘটে। লাঞ্চিত হওয়া যুবক সোহেল জানায়, ছুটিতে পার্কে বেড়াতে এসে অপ্রিতিকর ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। যা আর প্রকাশ করতে চাই না।
আশপাশের বাড়ি ঘরে লোকজন জানায়, মেয়ে ছেলেরা এখানে আসে আড্ডাদেয় প্রায় সময়েই হাঙ্গামা হুজ্জুত হয়। অবৈধ কাজকর্ম হলেও কেউ কিছু বলে না। তারা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে। তাই এখন আর কেই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বাইরের লোকজনের যাতায়াত চিৎকার হইহুল্লুর।
পার্কের প্রোপাইডার সজিব মিয়া বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান আমার চাচাতো ভাই। পিতা সাবেক মেম্বার।
এক একর জমি বিক্রি করে পার্কটি দিয়েছি। ৩০টাকা হারে টিকেট বিক্রি করা হয়। কিন্তু সারা বছরেই লোকজনের যাতাযাত থাকে তবে ঈদের সময় একটু লোকজন বৃদ্ধি পায়।
পার্কে অবৈধ কর্মকান্ড মাদক জুয়া খেলা হয় কি না জানতে চাইলে সজিব মিয়া অস্বীকার করেন।
আঠারবাড়ি রায়ের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক দিন হয় এখানে আছি কিন্তু পার্ক আছে সেটি আমার জানা নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্যপ্রাণি আটক আছে বা মিনি চিড়িয়াখানা এ উপজেলায় আছে, কি না জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান অস্বীকার করে বলেন বিষয়টি বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অধিন, তারা বলতে পারবেন।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ও বিভাগী বন ও পরিবেশ কর্মকর্তার নাম্বারে মোবাইল করেও তাদের পাওয়া যায়নি।