আরিফ আহম্মেদ ; ময়মনসিংহের গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ বাজারে হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ গেইটের সামনে রায় মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক ৩টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দেড় বছরের ব্যবধানে এনিয়ে চতুর্থবারের মতো আগুন লেগেছে ঘনবসতিপূর্ণ এ শ্যামগঞ্জ বাজারে।

গৌরীপুর, নেত্রকোণা সদর ও পূর্বধলা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি করে মোট ছয়টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি বলে জানান গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ শাহজাদা।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন চায়ের দোকান বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে রায় মার্কেটের মালিক পক্ষের দাবি পরিকল্পিতভাবে কেউ আগুন লাগিয়েছে।

জানা যায়, গভীর রাত হওয়ায় নিয়ন্ত্রণের আগেই মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানগুলোতে, এতে করে সাতটি দোকান ঘর আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুনে আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিসমিল্লাহ মেশিনারি দোকানের মালিক শামীম খান বলেন, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দোকান, এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে এখন আমি। কীটনাশকের দোকানের মালিক মোঃ আতাউর বলেন আমার ৩০ লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়েছে। মাহফুজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক জানায় আগুনে আমার ৫০ লাখ টাকার সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এছাড়াও আবুল মিয়ার ১০ লাখ, রহিম উদ্দিনের ২ লাখ, হাফিজুল ৫ লাখ, ও আব্দুল্লাহ স্টোর এর সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন।

মার্কেটের মালিক তিলক রায় টুলুর দাবি পরিকল্পিতভাবে তাদের রায় মার্কেটে আগুন দেয়া হয়েছে। এতে সাতটি দোকানের মালামাল ছাড়াও ভবনের প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাকিল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি, কোন দুষ্কৃতিকারী এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আছে কিনা সেটাও তদন্ত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।