নেত্রকোণা সংবাদদাতা : নেত্রকোণার পূর্বধলায় ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ২১ প্রার্থীর মাঝে ১৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ওইসব প্রাথীরা প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তারা তাদের জামানত হারিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোণার পূর্বধলায় উপজেলা চেয়ারম্যন পদে ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রাথীয় প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।
এসব প্রার্থীদের মাঝে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জাহিদুল ইসলাম সুজন নির্বাচনের মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য তার ঘোড়া প্রতীকে ভোট পড়ে ৪১২টি। আর সেই জন্য তারও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার তালিকায় রয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রাথীর ৯জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, আকাইদুল ইসলাম (উড়োজাহাজ) প্রাপ্ত ভোট ৪৪৯৫, মো: ফরহাদ মিয়া (পালকি) প্রাপ্ত ভোট ৮১১৭, মো: রফিকুল ইসলাম (আইসক্রিম) প্রাপ্ত ভোট ১৫৩১২, মো: শফিউল ইসলাম (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রাপ্ত ভোট ১৮৪৮, মো: শহিদুল ইসলাম (টিয়াপাখি) প্রাপ্ত ভোট ৪২৭৪, শহীদুল ইসলাম (তালা) প্রাপ্ত ভোট ৪৫৭৪, মো: হারুন অর রশীদ (টিউবওয়েল) প্রাপ্ত ভোট ১২২৬৪, শেখ রাজু আহমেদ রাজ্জাক সরকার (গ্যাস সিলিন্ডার) প্রাপ্ত ভোট ২২০৮, সুকান্ত চন্দ্র সরকার (চশমা) প্রাপ্ত ভোট ৯৫২২। এই পদে মোট ভোট পড়েছে ১ লক্ষ ১১হাজার ৩৫ ভোট। ১৫শতাংশ হারে প্রত্যেক প্রাথীকে জামানত রক্ষা করতে ১৬৬৫৫ ভোট পেতে হবে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রাথীর মাঝে ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন নমিতা রানী দাস (প্রজাপতি) প্রাপ্ত ভোট ৫২৭২, শারমিন সুলতানা সুমী (সেলাই মেশিন) প্রাপ্ত ভোট ১১৭৫০, শারমিন আক্তার (পদ্মফুল) প্রাপ্ত ভোট ১১৪৪৬। এই পদে মোট ভোট পড়েছে ১লক্ষ ১১হাজার ৩৩টি। জামানত রক্ষা তাদের ১৬৬৫৪ভোট প্রয়োজন পড়লে তা না পাওয়ায় তাদের জামানত খোয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: নাজমুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী জামানত রক্ষার্থে পরাজিত পার্থীদের প্রদত্ব ভোটের ১৫শতাংশ ভোট পেতে হবে। কিন্তু তিন পদে ১৩জন প্রার্থী কাঙ্খিত ভোট না পাওয়ার তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।