জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি অপরাধীদের বিচার দাবি করেছেন। বিচার না পেলে সপরিবারে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
শনিবার রাতে জামালপুর শহরে প্রেসক্লাব জামালপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সাবেক এই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি (৪৫)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি বলেন, একই শহরের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মাসুদ উল হাসানের (৩৮) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রচার-প্রচারণা বাবদ খরচ ও নানা মিথ্যা কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা নেন মাসুদ। দীর্ঘ দিন পর আরও টাকা দাবি করেন তিনি। সেই টাকা না দেওয়ায় তাঁদের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘তা ছাড়া একই এলাকার মো. আবদুস সালাম মাহমুদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলাম। সেসব শোধ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মাসুদ ও সালাম দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সবশেষ গত ২০ মে রাতে তারা দুজন আমার বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সে সময় আমার স্বামী চলে আসায় তারা পালিয়ে যায়।’
মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি বলেন, ‘নির্বাচন থাকায় আমি এত দিন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। তবে ৭ জুন রাতে মাসুদ আবার আমাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতে থাকে। তাই আমি থানায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।’
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি মামলা করার জন্য থানায় সারা রাত ছিলাম। সকালে আরেকবার গিয়েছি। তবু থানার ওসি আমার মামলা নেননি। আমি এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। হয় পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করবে, না হয় আমি পরিবারসহ আত্মহত্যা করব।’
এদিকে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতির অভিযোগটি জিডি হিসেবে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’