কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাত দিনের সন্তানকে ৯ তলা ভবন থেকে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মা তিসা আক্তার।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজ্রিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে হাজির করলে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মা তৃষা আক্তার। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
জবানবন্দিতে তৃষা জানান, তিনি অর্নাস পড়ুয়া ছাত্রী। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সন্তান নিতে চাননি তিনি। কিন্তু এ সন্তানটি হয়ে গেলে তিনি আর নষ্ট করেননি। এ নিয়ে তার স্বামী ডাক্তার উসমান গনির সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। তিনি এই সন্তানটি নিতে চাননি- এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে রাগে ক্ষোভে বাথরুমের বেলকুনি থেকে শিশুকে ফেলে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেন তৃষা।
স্বজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে ডাক্তার উসমান গণির পরিবারের সবাইকে ঘুমে রেখে মা তৃষা আক্তার ভবনের ৯ তলার বাথরুমের বেলকনি থেকে সাত দিনের শিশুকে ফেলে হত্যা করেন। এরপর নিজেই চিৎকার করতে করতে বলেন তাসনিদ উসমানকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। ভোরে বাড়ির কাজের মেয়ে জানালা দিয়ে ভবনের পিছনে ঝোঁপঝাড়ে তাসনিদের লাশ পরে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সাত দিনের সন্তানকে নিজেই মেরেছেন বলে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন মা তৃষা আক্তার। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।